ইতালিতে বাংলাদেশিদের পথপ্রদর্শক তিনি

2016_07_30_15_08_38_tHhIKk7dyoIMxv9Vub2yZ8J7aO1Qce_originalসাত বছর আগে ঠিক আজকের এই দিনেই তিনি চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। ইতালির বাংলাদেশ কমিউনিটির ‘পাইওনিয়ার’ লুৎফর রহমান খানের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। দেশটিতে তখন বসবাসরত হাজার হাজার শুভাকাঙ্ক্ষী বাংলাদেশিদের কাঁদিয়ে তিনি রাজধানী রোমের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজণিত কারণে ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই অনেকটা অকালেই জীবনাবসান ঘটে ইতালির মেহনতী জনতার সবচাইতে কাছের এ মানুষটির।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নেয়া শেষে আশির দশকের মাঝামাঝি লুৎফর রহমান খানের ইতালি আগমন। ওই সময় ইতালিতে ছিল সীমিত সংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস। অভিবাসীরা যখন নিজ নামে লাইসেন্স করে বৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য করার অনুমতি পেতো না এখানে, তখন লুৎফর রহমান খান টানা ১৭দিন ইতালীয়ান জাতীয় পার্লামেন্ট হাউজের সামনে অনশন ধর্মঘট করে ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় করতে সক্ষম হন। এই বীর বাংলাদেশির সংগ্রামী আন্দোলনের সোনালি ফসল হিসেবেই প্রবাসীরা তখন নিজ নামে বৈধ ‘বিজনেস’ শুরু করে ইতালিতে।

বাংলাদেশ সমিতি ইতালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন লুৎফর রহমান খান। খেটে খাওয়া প্রবাসীদের সবচাইতে কাছের মানুষ হিসেবে তিনি বরাবরই সাদামাটা জীবনযাপন করেছেন ইতালিতে। যে কোনো লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে বিদেশ বিভুঁইয়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন স্বদেশি ভাই-বোনদের কল্যাণে।

অবিস্মরণীয় সব অবদান সত্ত্বেও তার স্মৃতির প্রতি যথার্থ সম্মান জানাতে অনেকটাই উদাসীন ইতালির বহুদা বিভক্ত বাংলাদেশ কমিউনিটি। জন্মস্থান বাংলাদেশের পাবনার বেড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয় লুৎফর রহমান খানের।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.