এক বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের মধ্যেই মুস্তাফিজুর রহমান দেখে ফেলেছেন মুদ্রার দুই পিঠ। দুটি টেস্ট, ৯টি ওয়ানডে আর ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেই তিনি হয়ে উঠেছেন কাটার মাস্টার। সেই মুস্তাফিজই আবার কাঁধের ইনজুরি নিয়ে ছয় মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেলেন।
তাই সময় থাকতে সতর্ক হতে আহবান জানালেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি বললেন, ‘ভবিষ্যতে মুস্তাফিজকে কোথাও খেলতে পাঠানোর আগে মাথায় রাখতে হবে, তাঁর বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
সাসেক্সের হয়ে খেলতে ইংল্যান্ড যাচ্ছিলেন, তখনই মাশরাফির মনে এক ধরণের খচখচানি ছিল। মুস্তাফিজের চোট মাশরাফির শঙ্কাটাকেই সত্যি প্রমাণ করল।
চলতি বছর জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে কাঁধের ইনজুরিতে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ মিস করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর একই ইনজুরিতে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে যাওয়া হয়নি তার। এমনকি এশিয়া কাপের ফাইনালসহ শেষ দুই ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বড় অংশ মিস করেন ‘কাটার মাস্টার’।
সর্বশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একই রকম ব্যাথা টের পেলেও সেটা খেলায় বাঁধা দিতে পারেনি। আইপিএল শেষে এই ইনজুরিটা পুরো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। সেই পুরোনো ব্যাথাটাই সাসেক্সের হয়ে অনুশীলনের সময় ফিরে এসেছে।
ফলে, পরিষ্কার ভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল ও রিহ্যাবের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের এই দায়টা নিতেই হবে। বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজকে ম্যাচ ফিট না করেই কি তাহলে ইংল্যান্ডের ছাড়পত্র দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা? – এমন সমালোচনাও শুনতে হয়েছে বিসিবিকে।
তাই, ভবিষ্যতে মুস্তাফিজকে নিয়ে শতভাগ সতর্ক থাকবে সংস্থাটি। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বললেন, ‘মুস্তাফিজকে অবশ্যই বুঝে খেলানো হবে। পিএসএলে মুস্তাফিজের অফার ছিল কিন্তু আমরা তাকে খেলার অনুমতি দেইনি। সিপিএলেও অফার ছিল কিন্তু পাঠাইনি। তার যখনই কোনো সমস্যা হয়েছে তখনই কিন্তু তার কেয়ার নেওয়া হয়েছে। তাকে সব জায়গায় খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। ভবিষ্যতেও হবে না। বাড়তি কোনো তার দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে আমরা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছি না।’