ই-কমার্স খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যান্ত্রিক শহরে বাসায় বসে পণ্য পেতে আগ্রহ রয়েছে সবার। দরকার শুধু বিশ্বস্ততা আর পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা। প্রাথমিক পর্যায়ে ই-কমার্স খাতে ই-শপ পরিচালনায় ৫০০ নারী এবং ৫০০ পুরুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
আজ রাজধানীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলনে কক্ষে গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নে ই-শপ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সুবিধা গ্রামের মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল সরকারের ‘ই-শপ’ কর্মসূচি। ই-শপের আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় একটি করে ই-শপ খোলা হবে, তৈরি হবে স্থানীয় উদ্যোক্তা ও তাদের পণ্যের তালিকা। এসব ই-শপ যুক্ত থাকবে একটি কেদ্রীয় ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সঙ্গে, যা কাজ করবে পণ্য কেনাবেচার ওয়েবসাইটের মত।
কোন প্রকার দালাল ছাড়াই পণ্য বেচা কেনার জন্য এধরণের ই-শপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ই-কমার্স উন্নয়নে ইতোমধ্যে ভেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। অনলাইন পেমেন্ট বাড়ানোর জন্য গেটওয়ে চালু হয়েছে। আন্তর্জাতিক কিছু গেটওয়েও কাজ করছে। এসব করা গেলে এই খাত থেকে অনেক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে আয় করা সম্ভব হবে।
ই-শপ একটি যুগান্তকারী ধারণা। এই পদ্ধতিতে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের স্বল্প আয়ের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কাঙ্ক্ষিত আয়ের পথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন পলক।
বেশ কয়েকটি দেশের ই-কমার্সের উদাহরণ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছে যারা এই ই-শপ নিয়ে কাজ করতে খুবই আগ্রহী। তাদের কাজে লাগাতে পারলে গ্রামীণ অর্থনীতিকে ট্রাডিশনাল ইকোনমি থেকে বের হয়ে ই-কমার্স ভিত্তিক একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামোতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
ই-শপ যা গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নে একটি ই-কমার্স উদ্যোগ নামে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করবে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। মোট ১২ মাস সময়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। সেই হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রকল্পের সময় ধরে শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কর্মসূচি পরিচালক আকতার হোসেন, বাস্তবায়ন সহযোগী এফএসবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেকা হাসান সেঁজুতি, সিআরআই নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস, গাজী টিভির এমডি আমান আশরাফ ফায়েজসহ আরও অনেকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘ই-শপ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে ফিউচার সলিউশনস ফর বিজনেস (এফএসবি)।