বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সরকার বিমান এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য সব কিছু করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উন্নত প্রশিক্ষণসহ বিমানবন্দরে আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিমান ও বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলা চালানো গেলে একদিকে বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পাওয়া যাবে এবং দেশকে পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া যাবে। এটা মাথায় রেখে বিমান ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিমান কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় পিছু হটে আইএস তার সদস্যদের বিভিন্ন দেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে পাঠাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরা যাতে বাংলাদেশকে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ক্ষেত্র না বানাতে পারে সে জন্য পাশাপাশি জঙ্গবাদ নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি ব্যক্তির সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে এ দায়িত্ব পালনে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
তিনি রোববার দুপুরে কুর্মিটোলায় বিমান সদরদফতর ‘বলাকায়’ বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ‘দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও নিরপত্তায় করণীয়’ সম্পর্কিত সভায় এ কথা বলেন। বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এসএম গোলাম ফারুক, বিমান সিবিএ সভাপতি মশিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে বিমানবন্দরের সিকিউরিটি সংক্রান্ত সরঞ্জামাদি ক্রয়, এপিবিএন , ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের সঙ্গে সমন্বয়, সিকিউরিটি কনসালটেন্ট কোম্পানি রেড লাইনের কার্যক্রম, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, কার্গো কমপ্লেক্সসহ আসন্ন হজ্জ ফ্লাইট সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও খবর