সিটিসেল বন্ধে ৮ লাখ গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেবে কে?

2016_07_31_20_04_03_jQLzA1BKUzUEJazFNqgV77wqNYav54_originalগ্রাহকদের ভোগান্তি ও ক্ষতি বিবেচনায় না নিয়েই সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন’র সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, সিটিসেল রিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। সর্বশেষ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয় প্রায় ৮ লাখ গ্রাহক। রোববার (৩১ জুলাই) বিটিআরসি’র এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে সিটিসেল ব্যবহারকারীদেরকে অন্য অপারেটর বেছে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু এ বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতি বিটিআরসি বিবেচনায় নেয়নি। অন্য অপারেটর ব্যবহার করার ফলে সিটিসেল এর ব্যবহারকারীদের আগের হ্যান্ডসেট কোনো কাজে আসবে না ফলে তাদেরকে নতুন করে হ্যান্ডসেট ও সিম কিনতে হবে।

মহিউদ্দিন আরো বলেন, আগের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করার সময় এসব গ্রাহককে প্রচুর হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে হয়েছিল।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের সংগঠন হিসাব করে দেখেছে, এ অপারেটরের বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে ৮শ থেকে সাড়ে ৮শ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে। এই ব্যয় নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করার কথা থাকলেও বিটিআরসি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আজ (১ আগস্ট) ১২টা ৩০ মিনিটে সংগঠনের পর্যবেক্ষক টিম সিটিসেল অফিসে যোগাযোগ করলে, কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মহিউদ্দিন আহমেদ।

এ বিষয়ে বিটিআরসিকে গণশুনানি করে তারপর সিটিসেল বন্ধ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.