কাজে ফিরলেন এসপি বাবুল আক্তার

babul20160803150022স্ত্রী খুন হওয়ার প্রায় দুই মাস পর অবশেষে পুলিশ সদর দফতরে নিজের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। বাবুল আক্তারের শ্যালিকা শায়লা মোশাররফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ জুন সকালে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার খুন হওয়ার পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রচুর গুঞ্জনও ছড়িয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের ২৪তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে ব্যাপক প্রশংসিত হন তৎকালীন এডিসি বাবুল আক্তার। এরপর গত ৫ জুন তার স্ত্রীকে হত্যা করা হলে ঘটনার পেছনে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল।

তবে ২৪ জুন গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুল আক্তারকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। ঘটনার পর পুলিশ যদিও বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলে আসছিল, কিন্তু তাকে কেন গভীর রাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে বিষয়টি আজো পরিষ্কার হয়নি। ওই সময় বাবুল আক্তার আটক হয়েছে বলেও গুঞ্জন ছড়ায়।

এরপর প্রায় দুই মাস কেটে গেলেও বাবুল আক্তার কর্মস্থলে না ফেরায় বিষয়টি নিয়ে সবার মধ্যেই ব্যাপক আগ্রহ ছিল। বাবুল আক্তার ছুটিতে আছেন না কি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন- কারো কাছ থেকে এ প্রশ্নের স্পষ্ট কোনো জবাব না আসায় মানুষের আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শ্যালিকা শায়লা মোশাররফ নিনজা। তিনি বলেছিলেন, ‘আজ একজন রিকশাওয়ালাও মনে করেন এসপি বাবুল আক্তার খুনি। কিন্তু এর অন্তরালে কি ঘটে যাচ্ছে তা কেউ জানতে পাড়ছে না। মামলার তদন্তকালেই তাকে খুনি বানানো হচ্ছে। অথচ তিনি খুনি কি না তা এখনো প্রমাণ হয়নি। যদিও তা এখন অনেকের কাছে আর বড় বিষয় নয়, বড় বিষয় হচ্ছে বাবুল আক্তারকে চাকরিচ্যুত করা খুব জরুরি। যারা বাবুল আক্তারকে চান না, ভিন্ন স্বার্থ চরিতার্থ করতে চান, তারা সবাই উঠে পড়ে লেগেছে।’

তবে দীর্ঘ এ সময়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি বাবুল আক্তার। স্পষ্ট করে কিছু বলেননি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.