যে কোনো সিনেমায় অভিনয়ে রাজী নওশিন

n-1নওশিনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল ইয়াসির আরাফাত জুয়েলের ‘মুখোশ মানুষ- দ্য ফেইক’ এর সেটে। সিনেমাতে তিনি ‘নীল’ চরিত্রে অভিনয় করছেন। সাইবার ক্রাইমের শিকার এক নারীর অসহায়ত্বের গল্প নিয়ে নির্মিতব্য সিনেমাটি এই চরিত্রটিকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে।

প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পেলেও সিনেমাটি এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে নির্মিত হচ্ছে। বেশকটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যসম্বলিত একটি ট্রেইলার ইউটিউবে প্রকাশিত হলে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুখোশ মানুষ—দ্য ফেইক’ নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

নওশিন অবশ্য সেসব আলোচনা নিয়ে মোটেই ভাবছেন না । গ্লিটজকে তিনি বলছেন, “সিনেমাটি নিয়ে আমাদের পুরো ইউনিট অনেক তোপের মুখে আছি। অনেক বাধা বিপত্তির মুখেই আমাদের এ সিনেমাটি করা হচ্ছে। জানি না পরে কি হবে। তবে আমাদের অভিনয়ের মাধ্যমে আমাদের সামাজিক সমস্যার কথা যদি সমাজকে জানাতে পারি সেটাই আমার প্রাপ্তি।”

আরও বললেন, “আমি এখন সত্যিই সিনেমা নিয়ে ভাবছি। সিনেমা নিয়ে নানা ভাবনা আছে আমার, রয়েছে বেশ কিছু পরিকল্পনা। এখনই সেসব শেয়ার করতে চাই না। তবে এটা বলতে পারি যে আমি চলচ্চিত্রে নিয়মিত হচ্ছি। এখন অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। আর টিভি নাটক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা প্রতিটি শিল্পীর ভাবনা জুড়েই থাকে চলচ্চিত্রের ব্যাপারটি।”

সিনেমার নীল চরিত্রটি নিয়ে নওশিন বলছেন, “নীল চরিত্রটি ভালোবাসা ব্যাপারটিকে ভীষণ ভালোবাসে। ভালোবাসাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ভালোবাসাকে ঘিরেই তার জীবনের যত বিপত্তি।”

এই সিনেমাতে তার বিপরীতে রয়েছেন স্বামী, অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোল এবং দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সহকর্মী কল্যাণ কোরাইয়া।

রেডিও জকি থেকে অভিনয়ে নিয়মিত হতেই নওশিনের ডাক এসেছিল চলচ্চিত্রের। ২০১০ সালে শফিকুল ইসলাম ভৈরবীর ‘সোয়াচান পাখি’র মাধ্যমে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিল তার।

তারপর সে সিনেমাটির কাজ বন্ধ হয়ে গেল হুট করেই। তারপর নওশিন আরও অভিনয় করেছিলেন শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘হ্যালো অমিত’ এবং ডায়েল রহমানের ‘দুদু মিয়া’ সিনেমাতে। খবর নেই সে দুটি সিনেমারও।

তবে হতাশ নন নওশিন। চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হওয়ার আশা একেবারেই ছেড়ে দেননি তিনি। ‘মুখোশ মানুষ’ ছাড়াও শাহরিয়ার নাজিম জয় পরিচালিত ‘প্রার্থনা’ সিনেমাতে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন।N-2

নওশিন বলছেন, “সিনেমাতে মুখ্য চরিত্রেই কাজ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমি অভিনয় করতে এসেছি। যে কোনো ভালো গল্প আর বিশেষ চরিত্র পেলে আমার আপত্তি নেই। যেখানে অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে আমি সেখানে অভিনয় করতে চাই। ব্যাপারটি এমন নয় যে আমাকে একক নায়িকা হতে হবে, নাচ-গানে ভরপুর সিনেমা হতে হবে। যে কোনো ধাঁচের সিনেমাই হতে পারে।”

চলচ্চিত্রের ব্যস্ততায় নাটক ছেড়ে না দিলেও বলছেন, সিরিয়ালে আর অভিনয় করা নাও হতে পারে। তবে নিয়মিতই কাজ করবেন এক ঘণ্টার নাটকে।

নওশিন অভিনীত ‘উল্লেখযোগ্য’ নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছেখান মোহম্মদ বদরুদ্দিনের ‘বিশ্বাস অথবা ভ্রম’ ও ‘ঋতির জন্য’, অঞ্জন আইচের ‘রেড ডোর’, কায়সার আহমেদের ‘লং ড্রাইভ’, শাহরিয়ার নাজিম জয়ের ‘এবার বৃষ্টি এলে গান গাইব’ ইত্যাদি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.