শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেফতার শরিফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কিশোরগঞ্জ নেয়ার পথে র্যাবের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এ সময় তারা বোমাবর্ষণ ও গুলি চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শফিউল ইসলাম নিহত হন।
একই সময় মারা যায় হামলাকারী অন্য এক যুবক। তার নাম জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা ডাঙরিপাড়ায় এলাকায় একটি ইটখোলায় র্যাব-১৪ এর গাড়িবহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি পিস্তল, ৪টি চাপাতি, কয়েকটি ককটেল, ২টি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে র্যাব। ঘটনার পরপর র্যাব পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শোলাকিয়ায় হামলার সময় গুলিবিদ্ধ জঙ্গি শরিফুল র্যাব হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। তাকে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের জন্য রাতে ৪টি গাড়ি প্রহরায় কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
রাত ১১টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত র্যাবের ওপর হামলা করে। এ সময় র্যাবও গুলি চালালে শরিফুলসহ দুইজন নিহত হয়। আহত হয় তিন র্যাব সদস্য।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই ঈদের দিন সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশসহ চারজন নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জঙ্গি শরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে শফিউল র্যাব হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শফিউলের বাবার নাম আবদুল হাই, বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার সিংড়া ইউনিয়নের দেবিপুরে।