গত ৩১ জুলাই (রোববার) ‘এসো মিলি প্রাণের টানে’ স্লোগানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া (DUAAA) অস্ট্রেলিয়ান বোটানিক গার্ডেন, মাউন্ট এনানের প্রাকৃতিক শোভা দিয়ে পরিবেষ্টিত লেকসাইড প্যাভিলিয়নে প্রীতি বনভোজনের আয়োজন করে। বাংলাদেশের পতাকা ও সংগঠনের ব্যানার দিয়ে পিকনিক স্পটটি সাজানো হয়।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এর আহ্বানে মেলবোর্ন থেকে এ বনভোজনে অংশ নেন বাংলাদেশের শক্তিমান নাট্যশিল্পী ডলি জহুর। সিডনিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল পুনর্মিলনী বনভোজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি আয়োজক কমিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
শীতের এ সকালে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আনিস মজুমদার বনভোজনে আগত সবাইকে শুভেচ্ছাসহ সকালের নাস্তা ও মধুর ক্যান্টিনের চা পানের আমন্ত্রণ জানান। তারপর শুরু হয় মধুদা ও হাকিম ভাইয়ের চা দিয়ে স্মৃতিচারণ ও আড্ডা।
খণ্ড খণ্ড আড্ডা, লেক আর প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি ওপাশে কার্জন হল-এনেক্স দল বনাম কলা ভবন দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় পাঁচ ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ। তুমুল প্রতিযোগিতায় শেষ বলে ড্র করে (২৫ রান-২৫ রান) খেলা শেষ হয়।
অন্য গ্রুপে আগামী ক্ষুধে এলামনাইদের বিস্কুট দৌড়, চামচ-মার্বেল দৌড় ও তিন পায়ের দৌড় প্রতিযোগিতা খুবই উপভোগ্য ছিল। এছাড়াও নারীদের ঘিরে গানের ছন্দে ছন্দে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পিলো পাসিং খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জোহরের নামাজের বিরতির পর দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবারের ম্যেনুতে ছিল সুস্বাদু কাঁচিচ বিরিয়ানি, চিকেন মশলা, কাবাব ও সালাদ।
সিডনির স্বনামধন্য ব্যান্ড এইট নোটস দিয়ে শুরু হয় গানের আসর ‘গানের দরিয়া’। এহসান ও তার দল জনপ্রিয় শিল্পীদের গান গেয়ে উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন। এই পর্বে গিটারে আসিফ, কি-বোর্ডে শাম্মি, ড্রামে শাওন এবং তবলায় তাইফ সহায়তা করেন। এছাড়াও সিডনির পরিচিত শিল্পী মাসুদ মিথুনের একক গানের পর্বটিও দর্শক ও শ্রোতারা করতালি দিয়ে উপভোগ করেন।
বনভোজনের শেষ পর্বে পুরস্কার বিতরণ করেন ডলি জহুর, আনিস মজুমদার, আব্দুর রাজ্জাক ও মোস্তফা আবদুল্লাহ।
বনভোজন পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ছিলেন সেলিমা বেগম ও নাফিজা চৌধুরী মিনি।
সবশেষে সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা আবদুল্লাহ যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ বনভোজনের আয়োজনটি সার্বিকভাবে সুন্দর ও সার্থক হয়েছে তাদেরসহ উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।