সন্ধ্যা নামতেই ভুতুড়ে বাড়ি সেই লালদালান

jel-khana220160805220101ক্ষণ গণনা হিসেবে এক সপ্তাহ খুব বেশি সময় নয়। কিন্তু স্থান, কাল ও পাত্রভেদে এক সপ্তাহেই যুগ যুগ ধরে বিরাজমান পরিবেশ পাল্টে যায়। ঠিক এমনটাই ঘটেছে পুরোনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালান খ্যাত পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার।

গত ২৯ জুলাই( শুক্রবার) কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের দুই/একদিন আগেও সকাল থেকে রাত অবধি জেলখানার চৌহদ্দি লোকে লোকারণ্য থাকতো। কিন্তু সাতদিনের ব্যবধানে সন্ধ্যা না নামতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চৌহদ্দি অন্ধকার পুরিতে পরিণত হয়।

শুক্রবার রাত ৮টায়  সরজমিন পরিদর্শনকালে প্রধান ফটকের আশেপাশে গভীর রাতের শূন্যতা লক্ষ্য করেন। ফটক সংলগ্ন অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনে টেবিলে মিটমিটে আলোতে একজন মাত্র কারারক্ষীকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। অদূরে ইত্যাদি স্টোর নামের একটি কনফেকশনারি দোকানে এক বৃদ্ধকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানান, এ দোকানটিতে খুব বেচাকেনা হতো। এখন বেচাকেনা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। প্রধান ফটকের সামনে সাদা কাগজে কম্পিউটারে টাইপ করা ‘কর্তব্য ব্যতিত সকল প্রবেশ নিষেধ, আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ’ দুটি নোটিশ ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের গোলচক্কর পেরিয়ে যে রাস্তাটি চকবাজারের দিকে চলে গেছে সে রাস্তাটি রাত ৮টায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝে মাঝে রিকশার টুং টাং বেল, মোটরসাইকেল ও মোটরগাড়ির হেডলাইটের আলোতে কিছুটা আলোকিত হতে দেখা যায়।

প্রধান ফটক সংলগ্ন অনুসন্ধান কেন্দ্রে বসে থাকা কারারক্ষী জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হলেও এখনও শ দুয়েক কারারক্ষী রয়ে গেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পাহারাসহ বিভিন্ন কাজে তারা রয়েছেন। আগে তাদের থাকার সমস্যা হলেও এখন কারা মেসে থাকার জন্য জায়গার অভাব নেই বলে জানান তিনি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.