‘জঙ্গিবাদ নির্মূল সময়ের ব্যাপার মাত্র’

bg20160805220920১৪ দলের সমন্বয়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী ঐক্য এই চট্টগ্রামের মাটিতে সুদৃঢ় হয়েছে। প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় জনগণকে সাথে নিয়ে ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী ঘৃণাকে দ্বিগুণ করে তুলবে। জঙ্গিবাদ নির্মূল সময়ের ব্যাপার মাত্র।

শুক্রবার বিকেলে ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলায় ১৪ দল চট্টগ্রামের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্যিক এলাকায় মালিক-শ্রমিকরা নির্ভয়ে উৎপাদন ও উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখুন। আপনাদের ওপর কোনো ধরনের হামলা এলে আমরা প্রতিরোধের লাঠি নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়াব। এজন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই এবং জঙ্গিরা যাতে আপনাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের আশ্রয় প্রশ্রয় না পায় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি ইপিজেড থানা এলাকায় অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী ও পরামর্শক রয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, বিদেশিদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমরা তাদের বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির যাত্রায় অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে এদেশের মাটিতে নিরাপদ অবস্থান ও চলাচলের ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা দেব।

তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমাদের সন্তানরা যাতে বিপথগামী না হয় সে জন্য অভিভাবকদের নজরদারি রাখতে হবে। বাড়িওয়ালাদেরও খেয়াল রাখতে হবে যাদের বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন তারা জঙ্গি কিনা। ভাড়াটাদের যাবতীয় তথ্য পুলিশের কাছে পেশ করুন।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে যারা ক্ষমতা হরণ করেছে তারা এদেশকে দীর্ঘদিন পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছে। বহু আন্দোলন সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা জনতার রায় নিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর এদেশকে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি জাতির আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর সাহসী পদক্ষেপ নেন। মাঝখানে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে রাখার পর স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তীব্র জনরোষের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছেন এবং বিশ্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এই সাফল্যকে ম্লান করার জন্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছে এবং বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমরা ১৪ দলের নেতৃত্বে জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, জাসদ সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ রশিদ, জেলা সাম্যবাদী দলের আহ্বায়ক অমূল্য বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের আহ্বায়ক কাজী আহসানুল মোরশেদ কাদেরী, গণআজাদী লীগের আহ্বায়ক মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী, জাতীয় পার্টি জেপি’র আহ্বায়ক আজাদ দোভাষ, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. আলম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক সুমন, জাতীয় পার্টির জহির উদ্দিন জহুর, থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো: হারুন অর রশিদ, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. জিয়াউল হক সুমন, ছাত্রনেতা জিয়াউল হক জিয়া প্রমুখ।

সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জহুর আহমদ, আবু তাহের, আবদুল আহাদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল হাসান ভুলু, বখতিয়ার উদ্দিন খান, অমল মিত্র, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের আবু তাহের, হাসান মনসুর, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. হাসান, জয়নাল আবেদীন আজাদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী রহমতুন্নেছা।

সভা শেষে ১৪ দলের সমন্বয়ক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পদযাত্রা সমাবেশস্থল থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.