সেলিম ওসমান-শ্যামল কান্তি পরিস্থিতির শিকার

kanti20160807165407নারায়ণগঞ্জে স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছে পুলিশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনাটি উত্তেজিত জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আকস্মিকভাবে ঘটেছে। এ ঘটনায় শ্যামল কান্তি ভক্ত ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দুজনই পরিস্থিতির শিকার।

রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আদালত এ বিষয়ে আগামী ১০ আগস্ট আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। প্রতিবেদন তৈরি করেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসি (তদন্ত)।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কান ধরে উঠবস করানো ঘটনায় কেউ দায়ী নয় বলে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। বন্দর থানার এসআই মো. মোকলেছুর রহমানের লিখিত জবানবন্দিতে শ্যামল কান্তি বলেন, কান ধরে উঠবসের ঘটনা আকস্মিকভাবে ঘটেছে। এতে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কিছুটা শান্ত হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় শ্যামল কান্তি ভক্ত কাউকে দোষী করছেন না। এমনকি আদালত বা পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। ফলে এ ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। পরে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এ ঘটনায় সারাদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারির নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় আইনগত কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, এসপি ও বন্দর থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলে। জেলা প্রশাসক ও এসপি প্রতিবেদন জমা দিলেও পুলিশের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়।

প্রতিবেদন দিতে আদালত ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেয় পুলিশকে। এ বিষয়ে আজ (৭ আগস্ট) শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। আদেশ অনুযায়ী আজ (রোববার) পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.