অফিসে সারাদিন প্রায় বসেই কাটাতে হয়। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন এই কয়েক ঘণ্টা আমাদের সকলেরই অস্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস সঙ্গী হয়ে গেছে। এক জায়গায় বসে বসে ঘাড় কুঁজো করে কাজ করা, মাঝেমধ্যেই এটা-সেটা খাওয়া— সব মিলিয়ে সকালে কিছুক্ষণ ওয়ার্কআউট করলেও তার পুরোটাই মাটি হয়ে যায়।
এ ছাড়া কাপের পর কাপ চা বা কফি তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে নিশ্চিত হতে পারেন এ সব অভ্যাসের কারণে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হার্ট অসুখের মতো একাধিক রোগ খুব শিগগির আপনার সঙ্গী হতে চলেছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। এ সময় কয়েকটি নিয়ম মেনে পেতে পারেন সুস্থ দেহ-মন।
v যতই তাড়া থাকুক সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে না। সকালে ঠিকমতো না খেলে সারাদিন ক্ষুধাবোধ থেকে যায়। আর তা থেকেই এটা-সেটা খাওয়া। সকালে পেট ভরে খেয়ে বের হলে অকারণ ক্ষুধা পাবে না।
v চা-কফি পান খারাপ নয়, কিন্তু দিনে কয়বার পান করছেন সেটা হল বিষয়। অফিস টাইমে চা-কফি মিলিয়ে দুই কাপের বেশি পান করা উচিত নয়। চায়ের বদলে গ্রিন টি পানের চেষ্টা করুন। আর প্রতিকাপ কফির পর দুই গ্লাস পানি পান করুন। এর ফলে লিভার ও রেসপিরেটরি সিস্টেম পরিষ্কার থাকবে।
v যখনই পানি খাবেন, চেষ্টা করুন হালকা গরম পানি খেতে। এর অনেকগুলো উপকার আছে। যেমন-
– হালকা গরম পানি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হতে সাহায্য করে, যার ফলে গাঁটে ব্যথা ও মাথাব্যথার মতো যন্ত্রণা অনেকটাই কমে।
– হজম ক্ষমতাকে আরও ভাল রাখে।
– হালকা গরম পানি পান করলে ত্বকের অনেক সমস্যাই মিটে যায়।
v সাধারণত ক্যান্টিন বা রেস্তোরাঁয় লাঞ্চ আনানো হয়। মাঝেমধ্যে বাইরে গিয়ে খেতে পারেন। তবে চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি খাবার নিয়ে আসতে। না হলে পেটের সমস্যা অবধারিত। সময়মতো লাঞ্চ করুন। স্ন্যাকসজাতীয় কিছু খেতে মন চাইলে ডেস্কের ড্রয়ারে ফল বা ড্রাই ফ্রুটসের মতো হেলদি স্ন্যাকস রাখুন।
v সহকর্মীর বার্থডেতে কেক, পেস্ট্রি বা পিৎজার মতো হাইক্যালোরির খাবার খেতে পারেন, তবে বুঝে-শুনে পরিমাণমতো খাবেন।
v টানা কম্পিউটারের সামনে না বসে মাঝেমধ্যে একটু উঠুন। করিডরেই কিছুক্ষণ পায়চারী করে নিন। না হলে অন্তত কিছুটা দূরে বসে থাকা সহকর্মীর কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কথা বলে আসুন। নিজের চা, কফি, পানি অন্যকে অর্ডার না করে নিজে গিয়েই নিয়ে আসুন। এতেও মাঝেমধ্যে চেয়ার ছেড়ে ওঠা হবে।