‘নারী নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ’

Hasina_khaleda1442643524বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে রাষ্ট্রক্ষমতায় নারীদের প্রভাবশালী ভূমিকা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে বহুগুণ পিছিয়ে আছে বলে সমালোচনামূলক একটি নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মতামত বিভাগে। ৫ আগস্ট প্রকাশিত ওই নিবন্ধে নারী নেতৃত্ব নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনার সময় বাংলাদেশকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়েছে।

১৯৯১-’৯৬ এবং ২০০১-’০৬ দু’দফায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা সামলেছেন। ১৯৯৬-’০১, এবং ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন শেখ হাসিনা।

গণতান্ত্রিকভাবে এ দুই নারীনেত্রী শুধু দু’বার করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেন নি, বিরোধী দলেও ছিলেন দু’বার করে। এটি বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্যই একটি বিরল ঘটনা, বিশেষ করে সেটি যদি হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কোনো দেশ। এই দুই নারী নেতৃত্বের পরিচালনায় বাংলাদেশ একটি সেক্যুলার (ধর্ম নিরপেক্ষ) রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও একজন হিন্দু।

নিবন্ধে লেখক বলেছেন, বাংলাদেশের এ দুই নারী নেত্রী ‘প্রমাণ করেছেন’ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেও নারীরা পিছিয়ে নেই।

এর আগে গত ২১ জুলাই একই পত্রিকায় আরেকটি নিবন্ধ ছাপা হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘যুক্তরা্ষ্ট্র ছাড়া সবখানেই রাষ্ট্রক্ষমতায় নারীদের উপস্থিতি আছে’। ওই নিবন্ধে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ছোট একটি দেশ টুভান পিপলস রিপাবলিকের নারী নেত্রী খেরটেক অ্যামিরভিটোভনা আনচিমা টোকার প্রসংশা করা হয়েছে।

১৯৪০-’৪৪ সাল পর্যন্ত টোকা টুভান পিপলস রিপাবলিকের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু তিনি স্বামী বা বাবার উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে আসেন নি। নিজস্ব প্রজ্ঞায় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন তিনি।

ওই নিবন্ধটিতে বলা হয়, আসছে নভেম্বরে যদি হিলারি ক্লিনটন হোয়াইট হাউজের টিকিট নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সেটি হবে এক বিশাল ঘটনা। তখন যুক্তরাষ্ট্র ছোট দেশ মওরিতিয়াস থেকে শুরু করে জার্মানি, চিলি এসব দেশের তালিকায় নাম লেখাতে পারবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.