ডিপজল-সেলিম খানের প্রার্থিতা বাতিল, নির্বাচন বন্ধের শঙ্কা

দীর্ঘদিন ধরেই নেতৃত্বহীন চলচ্চিত্রের মাদার সংগঠন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি।
গত ২১ মে সংগঠনটির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সেটি বাতিল হয়।

বুধবার ২০২২-২৪ মেয়াদি নির্বাচনের সংশোধিত নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচনি বোর্ড। সেখানে আগামী ২০ আগস্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে আদালতের রায়ে ভোটার তালিকা সংশোধনীর কারণে অনেকেরই প্রার্থিতা ও ভোট বাতিল হয়েছে। তাদের কেউ কেউ আদালতে যেতে পারেন। ফলে নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
তিনি যে প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন সেই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে লড়ার কথা রয়েছে আলোচিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের।

তবে ভোটার তালিকা সংশোধন করায় প্রার্থী, প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সমর্থক ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার কারণে সাধারণ সদস্যপদ প্রার্থী থেকে ১৫ জন ও সহযোগী সদস্যপদ প্রার্থী থেকে চারজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে।

জানা গেছে, সংশোধনী ভোটার তালিকায় বাতিল হওয়া সাধারণ সদস্য ৫১ ভোটের মধ্যে প্রযোজক সেলিম খানের প্যানেলেরই প্রায় ৪৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। সংশোধনীতে বর্তমান সাধারণ ভোটার ১০৮ জন ও সহযোগী ভোটার ৬৮ জন।

এদিকে সালিশি ট্রাইব্যুনাল, এফবিসিসিআইয়ের রায় এবং সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, এর আগে বাতিল হওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী খোরশেদ আলম ও শামসুল আলম তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ আলম বলেন, ‘আদালতের রায় মেনে নির্বাচন কমিশন তফসিল সাজিয়েছেন। আমরা চাই, সংশোধিত তফসিলে আগামী ২০ আগস্ট যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন হলে নতুন নেতৃত্ব আসবে, সমিতি গতিশীল হবে। সিনেমার জন্য ভালো হবে।’

এ সময় আরেক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সেলিম খানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা সংশোধনীতে একটি নির্দিষ্ট প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অনেক ভোট বাতিল হয়েছে। তারা উচ্চ আদালতে যেতেই পারেন। মামলা হতেই পারে। এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.