বাংলাদেশ ও সিংগাপুরের যৌথ বিনিয়োগে সিরাজগঞ্জে ৪১৪ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে এটাই বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মঙ্গলবার ঢাকায় ‘সিরাজগঞ্জ ৪১৪ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করার জন্য নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পূর্ণ করা প্রয়োজন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে বাংলাদেশে স্থাপিতব্য প্রথম বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিংগাপুরের বিনিয়োগ দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবে।
সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে বাংলাদেশের নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং সিংগাপুরের সেম্বকর্প একটি যৌথ বিনিয়োগ কোম্পানি গঠন করে নাম রাখে সেম্বকর্প-নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করতে খরচ হবে ৪শ’ ১২ দশমিক ৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। কেন্দ্রটি স্থাপনে সেপকো-ওওও, সেম্বপেক ও এসডিসিআই ইপিসি কন্ট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এতে ব্যয় হবে ২শ’ ৭৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার।
প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রাথমিক হিসাবে খরচ পড়বে গ্যাসে ৩ টাকা ১৯ পয়সা এবং তেলে ১৩ টাকা ৫৭ পয়সা। চুক্তি অনুসারে ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে এ কেন্দ্র হতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। পাওয়ার পারচেস এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেন পিডিবি’র সচিব মো. জহিরুল হক ও সেম্বকর্প-নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান তান চেং গোয়ান।
বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম, ঢাকায় সিংগাপুর কনস্যুলেট অফিসের কনস্যুলর ড্যারেল লাউ ও পিডিবি’র চেয়ারম্যান মো. শামসুল হাসান মিয়া বক্তব্য রাখেন। খবর- বাসস।