বাংলাদেশের তরুণদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি একদিন বিশ্বজয় করবে বলে মন্তব্য করলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার বিকেলে আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ‘ওয়ান থাউজেন্ড ইনোভেশন বাই ২০২১’ কর্মকান্ডের প্রেস মিট ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকেই বেশ কয়েকটি দেশীয় উদ্ভাবন সারাবিশ্বে সাড়া জাগাবে, তাদের মেধার সক্ষমতা প্রমাণ করবে। সে জন্য আমরা একটি ইনোভেশন ইকো-সিস্টেম এবং স্টার্ট-আপ কালচার তৈরী করছি। এ সকল কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য আমরা ‘ওয়ান থাউজেন্ড ইনোভেশন বাই ২০২১’ কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। এসকল কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের দেশীয় উদ্ভাবন একদিন বিশ্বমানের নতুন উদ্ভাবনী পণ্য বা সেবার মাধ্যমে সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দেবে।আমাদের দেশীয় উদ্ভাবন একদিন বিশ্বজয় করবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও বুয়েটের সাবেক কৃতী শিক্ষার্থী, ড. তাহের এ সাইদ মানুষের রক্তনালিতে সাঁতার কাটতে পারে এবং ওষুধের প্রয়োগ ছাড়াই ক্যানসারকে জয় করতে পারে এমন এক বায়ো-বট বা জীবন্ত রোবট উদ্ভাবন করেছেন। জিন বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন, কুয়েটের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ তাসনিমুল ইসলাম ও সৈয়দ ইরফান আলী মির্জা সব ধরণের মোবাইলে কাজ করে এ ধরণের স্মার্ট ওয়াচ উদ্ভাবন করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তরুণ দেবনাথ শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ন্ত্রিত হুইল চেয়ার উদ্ভাবন করেছেন। ওনারা সবাই আমাদের সন্তান। তাদের সেই সব উদ্ভাবন আজ সারাবিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। কেউবা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেয়েই বিশ্বজয়ী উদ্ভাবন করছেন, আবার কেউবা অপ্রতুল সহায়তার মধ্যেও নানা ধরণের উদ্ভাবন করে চলেছেন। বিশ্বে বাংলা মায়ের পতাকাকে আরো সমুজ্জ্বল করে চলেছেন। তাই, পুরো জাতি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
তারা বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে আদর্শ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মেধাবী সন্তানদেরকে উদ্ভাবনী কর্মকান্ডে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, যার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ পূর্ণতা পাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নেতৃত্বে আইসিটি ডিভিশন কাজ করছে।’
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৯ টি উদ্ভাবনী অ্যাপস ও গেইমে বিভিন্ন অংকের অনুদান প্রদান করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রেস-মিট ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি’র এমডি হোসনে আরা বেগম এনডিসি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হারুনুর রশিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব, কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি’র কন্ট্রোলার আবুল মনসুর মোহাম্মদ সারফ উদ্দিনসহ আইসিটি ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ|