আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিলে সময় পেল ১০টি দল

1470798854আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে ১০টি রাজনৈতিক দলকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ এই দলগুলো এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০১৫ সালের ‘অডিট রিপোর্ট’ জমা দিতে পারেনি। দলগুলোর সময়বৃদ্ধির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন জমার সময় এক মাস বাড়ানো হয়।

ইসি সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ আবেদন করা ১০টি দলকেই এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে হিসাব দাখিল করা ৩০টি দলের মধ্যে ছয়টি দলের ‘অডিট রিপোর্ট’ যথাযথ না হওয়ায় তাদের নির্ধারিত ‘ছক’ মেনে পুনরায় জমা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। দল ছয়টির সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠিও পাঠান হয়েছে।

হিসাব জমার শেষদিনে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি দল বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ সময় বৃদ্ধির আবেদন করে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হিসাব জমা দেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দল হলো-জাতীয় পার্টি-জাপা, জাতীয় পার্টি-জেপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমএল ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।

আইনানুযায়ী, নিবন্ধিত ৪০ দলকে রেজিস্টার্ড চার্টার্ড ফার্ম দিয়ে অডিট করতে হবে। প্রতিবেদনে অডিট কোম্পানি এবং দলের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বা সিলমোহর থাকতে হবে। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হবে। ২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.