দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: গণফোরাম

ঢাকা: ‘ভারতে গিয়ে আমি বলেছি, এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করার সেটা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছেন।

অবিলম্বে মূল্যবোধহীন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য গ্রেপ্তার করতে হবে।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার অবমাননা এদেশের জনগণ কখনও মানেনি, মানবেও না। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র, কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রভু নয়। এদেশের জনগণ কারো দাসত্ব কোনো দিন মেনে নেয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো যেসব রাষ্ট্রদ্রোহী দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খল পড়াতে চায় তাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হবে এবং জনতার আদালতে বিচার হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে গণফোরাম নেতারা বলেন, অন্যথায় তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি ও গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার সম্পন্ন করতে হবে।

তারা আরও বলেন, ২০১৪ সালের বিনা ভোটের ও ২০১৮ সালের রাতের ভোটের জতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত সরকারের ন্যাক্কারজনক হস্তক্ষেপে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখল করে যা দেখে দেশবাসী হতবুদ্ধি-হতবিহ্বল হয়ে যায়। বিশ্ববাসীর কাছেও বিগত দুটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। পুনরায় জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্র করছে। এবার মানুষ এই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.