রবি-এয়ারটেল একীভূত হওয়ার পর কাজ না করতে চাইলে এয়ারটেল কর্মীরা স্বেচ্ছা অবসর স্কিমের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন। এয়ারটেলের চার শতাধিক জন কর্মীই আন্তর্জাতিক মানের এই স্কিমের আওতায় সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।
এ ব্যাপারে মূলত বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন স্ব-উদ্যোগে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। একীভূত হওয়ার কারণে চাকরি যাওয়ার ভয়ে থাকা এয়ারটেল কর্মীদের স্নায়ুকে একটু হলেও শান্ত করেছে এ সিদ্ধান্ত। গ্রামীণফোন একই ধরণের স্কিম জুন মাসে চালু করে। অন্তত ৩৫০ কর্মী ওই স্কিম গ্রহণ করে। গ্রামীণফোনের প্রোগ্রাম অনুসারে, চাকুরি-কালের উপর ভিত্তি করে তিনটি ক্যাটাগরিতে এ স্কিম ভোগ করতে পারবে স্বেচ্ছায় অবসর যাওয়া কর্মীরা। কর্মীরা চাকরিতে অবস্থান অনুসারে ন্যূনতম ২৪টি থেকে শুরু করে ৭০টি পর্যন্ত মৌলিক বেতন পেতে পারে।
রেগুলেটরের আইনি পরামর্শক ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, হাইকোর্ট থেকে বুধবার চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। টেলিকম পর্যবেক্ষকরা একীভূতকরণের ফি ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে। তাছাড়া রবিকে স্পেকট্রাম সমন্বয়ের জন্য আরও ৫০৭ কোটি টাকা সরকারকে পরিশোধ করা লাগবে। সংযুক্তির জন্য অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, আদালতের রায়ের পরপরই রবিকে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ অ্যান্ড ফার্মের রেজিস্ট্রারের কাছে চূড়ান্ত কাগজপত্র সম্পন্ন করার আগেই এ টাকা পরিশোধ করতে হবে রবিকে (একীভূত হওয়ার পর রবিই থাকবে) । রবি এবং এয়ারটেল গত বছরের সেপ্টেম্বরে একীভূত হওয়ার জন্য আবেদন করে।
অন্যদিকে, সিটিসেল সরকারের পাওনা ৪৭৭.৫১ কোটি টাকা পরিশোধ না করতে পারলে খুব শীঘ্রই অপারেটরটি বন্ধ হয়ে হবে। সেক্ষেত্রে সিটিসেলে কর্মরত ৬৫০ কর্মী চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে আছে। সিটিসেলকে ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প সার্ভিস প্রোভাইডার খুঁজে নেওয়ার উপদেশ দিয়েছে টেলিকম রেগুলেটর।
প্রসঙ্গত, রবি-এয়ারটেল একীভূত হওয়াকে কেন্দ্র করে অর্থ সংকটে এয়ারটেল থেকে ইতিমধ্যেই চাকরি ছেড়েছেন ১২৮ জন কর্মী। একীভূত হওয়ার আগে গত বছরের আগস্টে এয়ারটেলের স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৫২৮, যা এখন কমে ৪০০ হয়েছে। অর্থাৎ গত ১১ মাসে ১২৮ জন এয়ারটেল কর্মী চাকরি ছেড়েছেন।