যে ৩ অভ্যাসে বাড়বে আয়ু

বর্তমানে শরীর সুস্থ রাখাটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে যেমন বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে ঠিক তেমনই আয়ুও কমতে থাকে ধীরে ধীরে।

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই সারাদিন বসেই কাজ করেন কম্পিউটারের সামনে। যা শারীরিক বিভিন্ন রোগের অন্যতম এক কারণ। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা ইঙ্গিত দেয়, প্রতিদিন ব্যায়াম করা আপনাকে কেবল ফিট রাখে না, আপনাকে আত্মবিশ্বাসী বোধ করতে ও চাপমুক্ত থাকতেও সহায়তা করে।

দৈনিক অন্তত ১০ মিনিট দ্রুত হাঁটলে আপনি অতিরিক্ত ১৬ বছর আয়ু পাবেন ও বার্ধক্য প্রক্রিয়াটিও ধীরে ঘটবে বলে জানা গেছে গবেষণায়।

সিইউএইচকে জকি ক্লাব ইনস্টিটিউট অব এজিং পরিচালিত এই গবেষণার প্রধান পরিচালক ও গবেষক জিন উ এর মতে, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা অসংখ্য অসুস্থতার কারণ হয় ও এটি প্রাথমিক মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গবেষকের পরামর্শ হলো সুস্থ থাকতে ও বার্ধক্য দূর করতে নিয়মিত ব্যস্ত থাকা, সামাজিকভাবে জড়িত থাকা ও চলাফেরা করা উচিত সবারই। লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

গবেষক জানান, ৭০ বছরের বেশি বয়সী ৩০ শতাংশেরও বেশি মানুষের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে, চেয়ার থেকে উঠতে ও চারপাশে চলাফেরা করতে কষ্ট করে। তবে দৈনিক ১০ মিনিটের হাঁটা বার্ধক্যের হারকে ধীর করে দেয়। বয়স-সম্পর্কিত গতিশীলতার সমস্যাও দূর করে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন মৃত্যুর শীর্ষ ১০টি কারণের একটি হিসাবে বসে থাকা জীবনযাত্রাকে তালিকাভুক্ত করেছে। এমনকি বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্বও আয়ু কমাতে পারে।

সন্ডার্স নামের একজন গবেষক বলেছেন, ‘সামাজিকভাবে জড়িত থাকা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা মানসিক স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যা বাড়ায়।
ঠিক যেমন করোনা মহামারির সময় লকডাউনে কারণে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বাড়ায় অনেকে এখনো মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন।

নিজেকে ফিট ও সুখী রাখার শীর্ষ তিন উপায় হলো- সকালে ১০-১৫ মিনিট হাঁটা, ৮ ঘণ্টা ঘুমানো ও নতুন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা ও বন্ধুত্ব বাড়ানো। ঘরবন্দি হয়ে থাকলেও আয়ু কমতে পারে বলে জানাচ্ছে গবেষণা। একই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও নিজেকে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে সুস্থ থাকতে পারবেন খুব সহজেই।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.