গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আমরা কী পেয়েছি? বাংলাদেশ কিছুই অর্জন করতে পারেনি! আমরা ভারতকে কানেক্টিভিটির সমস্ত লাইন দিয়েছি কিন্তু তিস্তা আমরা এখনও পেলাম না। অথচ অন্য কারও সঙ্গে আমরা কানেক্টিভিটি পাইনি এটা নিয়ে আলোচনা।
নেপাল-ভুটান থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু তাও পায়নি বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ পেয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
শুক্রবার গণফোরাম সভাপতির কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্টু বলেন, বাংলাদেশের একটি বিশাল অঞ্চল মরুভূমি ও মানব শূন্য হওয়ার আগেই ওই মানবতাকে রক্ষা করার লক্ষ্যে অবিলম্বে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে।
প্রয়োজনে তিস্তা সমস্যা সমাধানে চীনের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্যোগ নিতে হবে।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে দেখা যায়, বাংলাদেশ ভারতের বাজারে পাকাপোক্তভাবে পরিগণিত হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা না করে অন্য দেশ নির্ভর আমদানি নীতি গড়ে তোলা হচ্ছে। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, এ সফর বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো সফর নয়, এ সফর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল রাখতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্রের সফর।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক।