রাতের ঘুম শেষে সকালে অ্যালার্ম শুনে ঘুম ভাঙে। কিন্তু আরেকটু আয়েশ করতে স্নুজ বাটন ব্যবহার হয় ঘন ঘন। বিশেষজ্ঞের মতে, বার বার স্নুজ বাটনের ব্যবহার না করে বরং সকালটাকে উপভোগ্য করে তুলুন। আর এ জন্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়টা হলো যৌনতা। সকালে সেক্স করার নানা ইতিবাচক বিষয় তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে দিয়েছেন কিছু টিপস। নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।
সকালের সেক্স নানা কারণে উপকারী। যেমন-
১. যাদের সেক্সের মাধ্যমে দিনের শুরু হয়, তারা সুস্থ ও আনন্দের সঙ্গে কাজ শুরু করতে পারেন। অন্তত এক কাপ চা ও নাস্তা সেরে দরজার দিকে পা বাড়ান যারা, তাদের চেয়ে মনটা ভালো থাকে।
২. সকালে সেক্স করা মানেই দেহে মন ভালো করা অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটানো। এতে করে গোটা দিন দুজন দুজনের প্রতি টান অনুভব করবেন।
৩. অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, সকালের যৌনতা মানুষকে ফ্লুয়েঞ্জা বা ঠাণ্ডার আক্রমণ থেকে দূরে রাখে। এমনকি চুল, ত্বক এবং নখ থাকে স্বাস্থ্যবান।
৪. সপ্তাহে তিন দিন সকালের সেক্স হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কাজেই এর সুফল অস্বীকার করা যায় না।
এখন কথা হলো, যদি সকালে না ঝিমিয়ে দেহ-মনকে চাঙ্গা করতে চান, তাহলে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে আপনার। কারণ যৌনতা স্বাস্থ্যকর হতে হবে। এ জন্যে নিন কিছু টিপস।
১. রাতে শোবার আগে দাঁত ব্রাশ করতে অবশ্যই ভুলবেন না। বাজে গন্ধ হলে কিছু মিন্ট জাতীয় গাম চিবানোর জন্যে বিছানার পাশে রেখে দিতে পারেন।
২. ঘুম থেকে উঠে ঘুম জড়ানো অবস্থায় সেক্স খুব বেশি উত্তেজনাকর করে তোলার প্রয়োজন নেই। হালকা খুনসুটি ও রোমান্টিক মিউজিক চলতে পারে।
৩. সকালের যৌনতায় একে অপরের ইচ্ছেটা বুঝে নিন। এটি এমন এক সময় এবং আয়েশি পরিস্থিতি যে, কারো নেতিবাচক মনোভাব কাজ করে না।
কাজেই সকালটাকে বিছানার এপাশ-ওপাশ না করে নষ্ট না করে সঙ্গী-সঙ্গিনীর সাথে সম্পর্কটাকে ঝালিয়ে নিন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
সকালের ১০ কাজ, যা আপনার দিনটাকে সুন্দর করবে
ব্যবসা, চাকরি বা রাজনীতি-যেকোনো ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিত্বরা আমাদের মাঝে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠেন। তাঁদের চলার পথ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন হলেও সফলতার পেছনে বিশেষ কিছু গুণ ও অভ্যাস বিক্রিয়ার অনুঘটকের মতো কাজ করে। এখানে বিশেষজ্ঞরা কিছু বিশেষ গুণ ও অভ্যাসের কথা তুলে ধরেছেন, যা সব সফলের মাঝেই দেখা যায়। প্রতিদিন সকালের বিশেষ ১০টি কাজ রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছেন সফলরা। এগুলোর কথা জেনে নিন এবং আপনিও করার চেষ্টা করুন।
যদি একটি দিনকে ২৫ ঘণ্টা করে নিতে চান, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠুন। আর একে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রয়োজনের চেয়ে এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠলে মানুষ আরো বেশি সচেতন ও আশাবাদী হয়ে ওঠে। ঠাণ্ডা মাথায় কাজের যথেষ্ট সুযোগও মেলে তাদের।
২. দিনের কাজ নিয়ে ভাবুন
ঘুম ভাঙার পর নিজেকে কিছু সময় দিন। গোটা দিনের কাজগুলোকে একঝলক মাথায় আনুন। মাত্র মিনিট দুয়েক ইতিবাচকভাবে পুরো দিনের কাজগুলো নিয়ে চিন্তা করলে মনটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে বলে এক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।
৩. সকালের নাশতাকে গুরুত্ব দিন
সময় মূল্যবান। আর সকালে পেট পুরে স্বাস্থ্যকর নাশতা উপভোগ সময়টাকে আরো মূল্যবান করে দেবে। দেহটাকে নিয়ে কাজে ঝাঁপ দেওয়ার জন্যে নাশতা জ্বালানি হয়ে কাজ করবে। তাই সফলরা কখনো একে অবহেলা করেননি।
৪. আগে জরুরি কাজ
যে কাজটি জরুরি এর জন্য সবার আগে পা ফেলতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওই কাজ গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল হয়ে থাকলে তালিকার শীর্ষে রাখা প্রয়োজন। এতে করে সুস্থ-সবল মস্তিষ্কে সুষ্ঠুভাবে কাজের সমাধা হবে। কারণ সকাল সকাল দেহ-মন-মগজ প্রসন্ন থাকে।
৫. প্রেরণার মন্ত্র
কী আপনাকে প্রেরণায় ভাসিয়ে দেয়, প্রথমেই তা খুঁজতে গভীরে ঝাঁপ দিন। দ্বিতীয় ধাপে নিজের একটি মন্ত্র তৈরি করুন, যা প্রেরণাকে উসকে দেবে। আর তৃতীয় ধাপে একই কাজ প্রতিদিন সকালের জন্য নিয়মিত করে নিন। চতুর্থ স্তরে গিয়ে গভীর করে শ্বাস নিন এবং প্রস্তুতি শেষ করুন।
৬. ব্যায়াম
সকালে যদি একটু ব্যায়াম করে নিতে পারেন, তবে তো কথাই নেই। ঘুম থেকে ওঠার পর সামান্য লাফালাফি ও দৌড়ঝাঁপ আপনাকে কাজের জন্য পূর্ণশক্তি এনে দেবে। এ কাজের জন্য যতটা সময় দেবেন, ঠিক ততটা সময় আগে ঘুম থেকে ওঠাই সহজ সমাধান।
৭. খাবারের পোঁটলা বাঁধুন
কাজের মাঝে ক্লান্ত মস্তিষ্কের আহার জোগাতে আপনার মুখে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। এ বিষয়ে সচেতন সফলরা। তাঁরা বাড়িতে তৈরি স্ন্যাকসকে শক্তির উৎস হিসেবে ভালো কাজে লাগান। কাজেই আপনিও তাঁদের অনুসরণ করুন।
৮. অবসন্নতা ঝেড়ে ফেলুন
দিন যত গড়াতে থাকবে, দেহ-মন তত অবসন্ন হতে থাকবে। তাই বাড়তি পেরেশানি ঝেড়ে ফেলুন। মন খারাপের বিষয়গুলো ভুলে যান। অনেক হালকা বোধ করবেন। ই-মেইল থেকে এক বস্তা অপ্রয়োজনীয় মেইল মুছে ফেলুন। পুরনো কাগজপত্র ফেলে দিন। নতুন একটি অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করুন।
৯. দ্রুত ঘুমাতে যান
আগে উঠতে হলে আগে ঘুমাতে হবে। এই স্বাভাবিক নিয়মটিকে মেনে চলুন। গভীর একটা ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখবে। এতে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান পাবেন এবং সৃষ্টিশীলতা আরো প্রখর হতে থাকবে।
১০. নীরবতা উপভোগ করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করুন। ভোরের সূর্যোদয় দেখুন, পাখির ডাক শুনুন এবং শীতল হাওয়ায় দেহটাকে জুড়িয়ে নিন।
সূত্র : ফোর্বস অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার