আপনি স্মার্ট, ফ্যাশনেবল এবং দেখতেও বেশ। কাজেই বহু পুরুষ আপনার প্রেমে পাগল হতেই পারেন। কেউ আপনার প্রেমে পড়লে সচেতন বা অবচেতনভাবে তা প্রকাশ করে দেবে। এ বিষয়গুলো সহজেই ধরা যায়। এখানে জেনে নিন এমন ৭টি উপায়, যার মাধ্যমে বুঝবেন যে ছেলেটি আপনার প্রেমে পড়েছেন।
১. চোখের দৃষ্টি আপনার দিকে : যে ছেলেটি আপনার প্রেমে পড়েছেন তিনি অবচেতনভাবেই আপনার দিকে ঘন ঘন তাকাবেন। আপনি যখনই তাকে খেয়াল করতে যাবেন, দেখবেন যে তিনি আপনার দিকেই তাকিয়ে আছেন। এটা প্রেমে পড়ার বড় একটি লক্ষণ।
২. মুখে আন্তরিক হাসি : আপনার চোখে চোখ পড়লেই তার মুখে ফুটে ওঠে এক অনাবিল আন্তরিক হাসি। এ হাসি ছড়িয়ে পড়ে চোখের পাতা পর্যন্ত। তাদের চোখেও থাকে ভাষা। চোখ দুটো জ্বলজ্বল করবে। এ হাসির বিনিময়ে আপনি ভদ্রতার খাতিরেও মৃদু হাসি না দিয়ে পারবেন না।
৩. আপনাকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা : তার যাবতীয় কর্মকাণ্ড থাকবে আপনাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে। না বুঝে কিছুটা বাহাদুরিও করে ফেলতে পারেন তিনি। আপনি আনন্দ পাচ্ছেন বা হাসছেন এমন কাজ তার কাছে প্রিয় হয়ে উঠবে।
৪. কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছেন : যিনি আপনাকে খুশি করতে বাহাদুরি করছেন, আপনার সামনে তিনিই কিছুটা নার্ভাস বোধ করবেন। হয়তো ঘন ঘন চুলে আঙুল চালাচ্ছেন। অথবা ঘন ঘন পা নাড়াচ্ছেন বা পকেটে থাকা কলমটি নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ইত্যাদি। এগুলো সবই তার স্নায়ুচাপে ভোগার লক্ষণ।
৫. আচরণের প্রতিফলন ঘটানো : যে ছেলেটি আপনার প্রেমে পড়েছেন, তিনি নিজের অজান্তেই আপনার আচরণের প্রতিফলন ঘটাবেন নিজের মাঝে। আপনার পছন্দকে নিজের পছন্দ বলে প্রকাশ করবেন। এগুলো একেবারে সহজাত প্রবণতা যা প্রেমে পড়লে ঘটে। এমনকি কথাবার্তাতেও এর প্রতিফলন ঘটতে পারে।
৬. তার হাতের আচরণ : খেয়াল করে দেখুন, আপনার সঙ্গে কথা বলা সময় তার হাত দুটো কেমন আচরণ করে। দেখুন, তিনি কি কোনো হাত বার বার ঠোঁটে রাখছেন? তার হাত দুটো কি ঘন ঘন প্যান্টের লুপে ঝুলছে? এসব আচরণের মাধ্যমে আপনার প্রতি দুর্বলতা ঢাকতে তিনি নিজেকে আত্মবিশ্বাসী বলে প্রকাশ করতে চান।
৭. আন্তরিক ভদ্রোচিত স্পর্শ : একটু খাতির হয়ে গেলে দেখবেন, তিনি আপনাকে ভদ্রভাবে ম্পর্শ করার চেষ্টা করবেন। হতে পারে সান্ত্বনা দেওয়ার সময় বা বিদায়কালে হ্যান্ডশেক এর ভঙ্গিতে আলতো করে হাত ধরলেন ইত্যাদি। এই স্পর্শের মাঝে কোনো বাজে ইচ্ছা প্রকাশ পাবে না।
যে ছেলেটির প্রেমে পড়েছেন তাকে যে ৬টি কথা বলতে নেই
আপনার হয়তো এমন সময় চলছে, যখন একটি ছেলের কথাই বার বার মনে আসছে। হয়তো তার প্রেমে পড়েছেন। বন্ধুত্বও গড়ে উঠেছে হয়তো। মাঝে মধ্যে ফোনে কথা হয় বা মেসেজ চালাচালি করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সব বিগড়ে যেতে পারে। আপনি বুঝতেই পারবেন না, কেন এমনটা হলো? আপানার কোনো কথায় বা কাজে ঘটে যেতে পারে এমন ঘটনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কারো প্রেমে পড়লে তাকে কখনোই ৬টি কথা বলতে নেই। এগুলো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। কাজেই কোনো ছেলেকে পছন্দ করে ফেললে তাকে কখনোই নিচের ৬টি কথা ভুলেও বলবেন না।
১. ফেসবুকে দেখেছি : ফেসবুকে কারো প্রোফাইল গোপনে নিয়মিত দেখাটা ভালো দেখায় না। কাজেই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ ফসকে কোনো ঘটনা বা ছবির বিষয়ে বলে ফেললেন, ‘ও হ্যাঁ, তোমার ছবিটি ফেসবুকে দেখেছি’। তাহলেই সেরেছে। ছেলেটি ভাবতেই পারে যে, তার ফেসবুকে অনুসরণ করেন আপনি। যদি দেখেই থাকেন তবে তা প্রকাশ করবেন না। ছেলেটি ওই বিষয়ে বলতে থাকলে তাকে আরো বলার সুযোগ করে দিন।
২. তোমার এক্স গার্লফ্রেন্ড… : সম্পর্কটি মাত্র কুঁড়িতে রয়েছে। এটি ফুল হয়ে ফোটার আগেই যদি তার সাবেক গার্লফ্রেন্ডের প্রসঙ্গে কথা বলেন, তবে সম্পর্ক অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে। তা ছাড়া এ বিষয়ে এখোনি কথা তুললে ছেলেটি আপনাকে হিংসুটে বলেই ভেবে নেবেন। এতে ছেলেটি আপনার বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করবেন। হয়তো তেমন কোনো সম্পর্কে ছেলেটির আদৌ নেই। অথবা থাকলেও তিনি তা ভুলে যেতে চাইছেন। কিন্তু আপনি কেন তার ক্ষতে নুনের ছিটা দেবেন?
৩. আমার এক্স বয়ফ্রেন্ড… : নতুন সম্পর্ক গড়তে যাকে বেছে নিয়েছেন, তাকে নিজের সাবেক বয়ফ্রেন্ডের কথা বলা কি সাজে? এতে নিজের ব্যক্তিত্বহানি ঘটতে পারে। সম্পর্কে এই বিষয়গুলো খুবই স্পর্শকাতর। তা ছাড়া হঠাৎ করে নিজের এক্স বয়ফ্রেন্ডের কথা তোলার অর্থ হলো, তারি প্রতি এখনো আপনি দুর্বল। এও ভাবতে পারেন যে, আপনি হয়তো এখনো নতুন কোনো সম্পর্কে জড়াতে প্রস্তুত নন। আবার তাকে সাবেকের সঙ্গে তুলনা করতে চাইলে তিনি নিশ্চয়ই তা পছন্দ করবেন না।
৪. একা থাকতে ভালো লাগে না, সম্পর্ক করতে চাই : সম্পর্ক বিষয়ক এক্সপার্ট ড. সিথ মেয়ারস বলেন, যাকে পছন্দ করেন তার কাছে কখনো এ কথা বলবেন না যে, একা থাকতে আর ভালো লাগছে না আপনার। এর অর্থ এমন দাঁড়ায় যে, আপনি যেকোনো একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন। আপনার জীবনে যে তাকেই লাগবে এমন নয়। আর এমন ভাবনা যে মেয়ের মাঝে রয়েছে, তার সঙ্গে কেউ নিশ্চয়ই সম্পর্ক করতে চাইবে না। আবার এমনও হতে পার, আপনাদের সম্পর্ক সচেমাত্র ডালপালা মেলছে। ছেলেটি এখনো নিশ্চিত নন যে, আপনিই তার মনের মানুষটি। সেক্ষেত্রে আপনার এমন মন্তব্য তাকে নিরাশ করবে। আপনার বিষয়ে বাজে ধারণা জন্মাত পারে।
৫. আমার শেষ টেক্সটটি পেয়েছো? : যদি দুজনের মধ্যে মেসেজ দেওয়া-নেওয়া হয়, তবে সেক্ষেত্রে কথা বলায় সাবধান থাকতে হবে। একবার-দুইবার মেসেজ পাঠিয়ে অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া না পেলে ক্ষান্ত দিন। ক্রমাগত মেসেজ পাঠানো বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। আবার অযথা বার বার মেসেজ পাঠানোর কোনো অর্থ হয় না। আবার মেসেজ পাঠিয়ে ফিরতি মেসেজের অপেক্ষায় থাকা আপনার জন্যে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠবে। তাই জবাব না পেলেও তাকে বলবেন না যে, আপনার মেসেজ তিনি দেখেছিলেন কিনা।
৬. কিছুই না বলা : অনেক কথাই যেমন আছে যা বলা যায় না, তেমনই কিছুই না বলা একেবারে উচিত নয়। যাকে ভালোবাসতে শুরু করেছেন তার সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলাপচারিতা চালিয়ে যান। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে তুলে ধরুন। দুজনের মাঝে যা ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে, তা নিয়ে অজস্র কথা বলায় কোনো নিষেধ নেই। সূত্র : ইন্টারনেট