টিভি ও চলচ্চিত্র- দুই মাধ্যমেই কাজ করছেন চিত্রনায়ক ইমন ও মডেল-অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা। বড় পর্দায় এখনও একসঙ্গে জুটি বাঁধা হয়নি তাদের। তবে ছোট পর্দার কয়েকটি নাটকে এ জুটিকে দেখা গেছে। নতুন খবর হলো, সম্প্রতি নেপালে গিয়ে একসঙ্গে চারটি নাটকে অভিনয় করেছেন দু’জনে।
সবই পরিচালনা করেছেন বি ইউ শুভ। শফিকুর রহমান শান্তনুর লেখা ‘পিপ পিপ হুররে’ নাটকে দেখা যাবে, ইমন তার বন্ধুদের সঙ্গে নেপালে ঘুরতে গিয়ে পিয়া বিপাশার প্রেমে পড়েন। হাস্যরসাত্মক ঘরানার এই সাত পর্বের নাটকটি প্রচার হবে এশিয়ান টেলিভিশনে।
একই নাট্যকারের রচনায় ‘ডায়েরি অব লাভ’ নাটকে দেখা যাবে- ইমন তার প্রেমিকা পিয়া বিপাশাকে নেপালে খুঁজতে যান। সেখানে লুৎফুন্নাহার আশা, নাজিরা মৌ, সেমন্তী ঘোষ ও ফাহমিদার সঙ্গে তার পরিচয় হয়, পরে সখ্যও গড়ে ওঠে। ফলে পাঁচ নায়িকার বিপরীতে দেখা যাবে তাকে। এটি থাকছে এটিএন বাংলার ঈদ অনুষ্ঠানে।
জাকারিয়া সৌখিনের লেখা ‘ধূসর ভালোবাসা’ নাটকেও আছেন ইমন-পিয়া বিপাশা। এর গল্পে দেখা যাবে, ইমন তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার আশাকে নিয়ে নেপালে বেড়াতে যান। হঠাৎ সেখানে পুরনো প্রেমিকা পিয়া বিপাশার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তার। এটিও ঈদে একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচার হওয়ার কথা।
অন্য নাটকটির নাম ‘প্রেম ও একটি অচেনা শহর’। এটি লিখেছেন পান্থ শাহরিয়ার। এর গল্প মূলত আনিসুর রহমান মিলন ও নাজিরা মৌকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায়। এখানে ইমন-পিয়া বিপাশা জুটিও গুরুত্বপূর্ণ।
নেপালে শুটিংয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ইমন বললেন, ‘এবারই প্রথম নেপাল গেলাম। অনেক ইচ্ছে ছিলো নেপাল যাওয়ার, শেষ পর্যন্ত আশা পূরণ হলো। শুটিংয়ের চেয়ে ঘুরেছি বেশি। নেপাল অনেক সুন্দর একটি দেশ। ওখানকার রাস্তাগুলো গলির মতো, তাই আমার কাছে মফস্বল শহরের মতো মনে হয়েছে। বৃষ্টি হলে কাদা জমে। তবুও পর্যটকদের ভিড় থাকে সবসময়। বেশি মজা পেয়েছি মানিক টাম্বেলে গিয়ে। ওখানকার মতো একসঙ্গে এতো বানর কখনও দেখিনি। ওরা শুটিংয়ের সময় আমাদের কাপড় ধরে টেনেছে, জিনিসপত্র নিয়ে লাফ দিয়েছে।’
ইমনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পিয়া বিপাশা বললেন, “আমরা নেপালের কাঠমান্ডুতে সালমান খানের ‘সুলতান’ দেখেছি। নেপালের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানকার মানুষ অনেক আন্তরিক। সব মিলিয়ে আটদিনের নেপাল ভ্রমণ বেশ রোমাঞ্চকর ছিলো।”