এককালে বিমানে শুধু ধনীরা যাত্রা করলেও বর্তমানে প্রয়োজনে নিম্নমধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত সমাজের মানুষও এখন যাতায়াত করছে বিমানপথে। তাই বিমানপথের যাতায়াত নিষ্কণ্টক করতে আপনাকে স্মার্টফোনের ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
যদি আকাশপথের যাত্রায় এই নির্দেশ না মানেন তবে তার পরিণাম কী হতে পারে জানেন কি?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো যাত্রী যদি বিমানে উঠে ফোনের ফ্লাইট মোড চালু না বা ফোন বন্ধ না করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। এর কারণ অবশ বেশ জোরালো।
বিমান চালুর পর যদি কোনো যাত্রীর এসব মোড চালু থাকে তবে প্লেন চালাতে বেশ দুর্ভোগে পড়েন পাইলট। কারণ ফ্লাইটের সময় মোবাইল সংযোগ চালু রাখলে কিংবা ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড না দিলে মোবাইল সিগন্যাল বিমানের যোগাযোগব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে।
বিমান চালানোর সময় পাইলটদের সবসময় রাডার এবং কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। কিন্তু যাত্রীর ফোন চালু থাকলে পাইলটরা সেখান থেকে স্পষ্টভাবে নির্দেশনা পান না বরং প্রাপ্ত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে বাধা পায়।
যেহেতু ফ্লাইট মোড করলে ফোনে নেটওয়ার্ক চলে যায় তাই অনেকেই এই মোড ব্যবহার না করে ফোনটিকে সাইলেন্স অপশনে দিয়ে রাখেন। এতে কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। বরং তাতে ক্ষতি হয় আপনারও।
কারণ বিমানে যাত্রাপথে যদি এই অপশনটি মোবাইলে চালু না করেন তবে আপনার মোবাইলের ব্যাটারির আয়ু কমবে। আর খুব তাড়াতাড়িই আপনার ফোনটি নষ্ট হতে শুরু করবে।
আপনি কি জানেন? যে মুহূর্তে আপনি আপনার ফোনকে ফ্লাইট মোডে রাখবেন, আপনার ফোনের সব অ্যাপের আপডেট বা ডাউনলোড বন্ধ হয়ে যাবে, যা আপনার ফোন চার্জিংয়ের স্পিড বাড়ায়। এই সময় ইএমএফ রেডিয়েশনের এক্সপোজারও হ্রাস পেতে শুরু করে।
ফ্লাইট মোডের আরেকটি সুবিধা হলো ফোনটি যতক্ষণ ফ্লাইট মোডে থাকে ততক্ষণ ফোন, মেসেজ, বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। আর তাই সেসময় আপনি কোনো বাধা ছাড়াই সিনেমা দেখা, গেম খেলা কিংবা গান শোনা উপভোগ করতে পারবেন।