সিটিসেলকে ‘বেঁচে থাকার’ ইঙ্গিত দিলেন তারানা হালিম

Citycell-Tarana-Halimবিটিআরসির চিঠি আর গণমাধ্যম পাড়ায় যখন সিটিসেল বন্ধের সংবাদ নিয়ে ব্যস্ত তখন সিটিসেলকে ‘বেঁচে থাকার’ ইঙ্গিত দিলেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে সিটিসেলকে আরও সময় দেওয়ার ব্যাপারে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য আগামী বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি ও সিটিসেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারানা হালিমের বৈঠক করার কথা রয়েছে।

এদিকে প্রতিমন্ত্রীকে না জানিয়ে আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে সিটিসেল গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে চলে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি সে ব্যাপারেও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তারানা হালিম বলেন, “আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কীভাবে অপারেটর বদল করতে পারি? আমার মনে হয়, এতে বিটিআরসির সিদ্ধান্তগত একটু অপরিপক্কতা প্রকাশ পেয়েছে। পট করেই সুইচ ওভার করতে বলতে পারি না। আমার সাথে আলোচনা ছাড়াই বিটিআরসি চিঠি ইস্যু করেছে। আলোচনার প্রয়োজন ছিল, তাহলে আইনগত বিষয়গুলো জানতে পারতাম।”

তারানা হালিম বলেন, “বর্তমানে সিটিসেলের বিটিআরসির কাছে দেনা, ব্যাংক ঋণ প্রভৃতি বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনার পর যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করেই সিটিসেলের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে এটি বন্ধের সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী বন্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর গ্রাহকদের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিকল্প সংযোগ খুঁজে নিতে বলা হবে। এ সময়সীমা কমপক্ষে এক মাস হতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত গ্রাহকদের সংযোগ স্বাভাবিকভাবে চালু থাকবে।”

১৬ অগাস্টের মধ্যে সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিটিআরসির চিঠির সিদ্ধান্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইফেকটিভ হওয়ার সুযোগ নেই, তবে এটা ঠিক আমি যদি জানতাম অপারেটর বদলের জন্য বিটিআরসি চিঠি দেবে, একটুখানি স্থগিত রাখতে বলতাম, আসলে বন্ধের সিদ্ধান্তটি আগে আসতে হবে। তবে চিঠিতে লাইসেন্সের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত, তা জানিয়ে দেওয়া ঠিক হয়েছে।”

সিটিসেল বন্ধের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে একটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। কারণ আমাদের দেখতে হবে কত বকেয়া আছে, দেখতে হবে বকেয়া ছাড়াও আর কোন কোন নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে, সেই বিষয়গুলো বিটিআরসির সাথে বসে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করব। তারপরই আমরা এক থেকে দুই মাস গ্রাহকদের সময় দেব অপারেটর পরিবর্তনের জন্য।”

প্রসঙ্গত, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ১৬ আগস্টের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ না করলে অপারেটরটি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে বিটিআরসি গত ৩১ জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, রাজস্ব বকেয়া বাকি এবং পরিশোধে গড়িমসি করায় যেকোনও সময় বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স ও তরঙ্গ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে অপারেটরটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সরকার। ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য গ্রাহকদের আহ্বান জানায় বিটিআরসি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.