বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেছেন, অনেকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই মামলায় রায় দিয়েছিলেন বিচারক।
তিনি বলেন, ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে যাদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল…সেই ঘটনায় বিচারের পথ খুলে গেল। এখানে খেয়াল করবেন সাক্ষী ছিল না, কত কষ্ট করে আমাদের একজন জেলা জজ মরহুম কাজী গোলাম রসুল তখনকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রায় দিল। এরপর হাইকোর্টে ডেথ কনফারমেশনের জন্য প্রতিকূলতা ছিল। এটা আমি আর বলতে চাচ্ছি না। এটার ডেট ফিক্স করা, বেঞ্চ গঠন করা এটা একটা নাটক ছিল।’
সোমবার প্রথমবারের মতো বিচার বিভাগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগ এগিয়ে এসেছে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘বিচার বিভাগ কোনো দিনই পিছপা হবে না। যেখানে অন্যায় দেখেছে সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে।’
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতাসহ সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, জেল-জুলুম, ছেলে-মেয়ে, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সব ছেড়ে এত আত্মত্যাগের পরও তাকে কতিপয় বিপদগামী সৈন্য এ রকম হত্যা করতে পারে… যাই হোক শুধু তাকে হত্যা করা হলো না, হত্যাকারী যারা তাদের রক্ষার জন্য তৎকালীন সরকার ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করেছিল এবং তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা খেয়াল করবেন বিচার বিভাগ শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা নয়, আমরা জেলহত্যা মামলারও রায় দিয়েছি। ৮ম, ৫ম, ১৩তম সংশোধনী বাতিল করে রায় দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ১৬তম সংশোধনী যেটা বিচারাধীন আছে সেটা নিয়ে কথা বলবো না।