সিটিসেল বন্ধ এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তাদের জন্য ‘স্বেচ্ছা অবসর স্কীম’ চালু হবে নাকি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সে বিষয়ে মুখ খুলছে না কেউই। আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে সিটিসেল আনুষ্ঠানিক বন্ধ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিটিসেল কর্মীদের করণীয় নির্ধারণ করতে উদ্যোগ নিয়েছে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (পিবিটিএলইইউ)। এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিকেল চারটায় মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধন প্রসঙ্গে সিটিসেল ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল করিম বলেছেন, ‘আমরা দিশাহারা। ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আতঙ্কিত আর শঙ্কিত জীবন-যাপন করছি। আমাদের অমানবিক আর অনিশ্চিত জীবন সম্পর্কে জানাতে মানববন্ধনের আয়োজন করেছি। সেখানে সিটিসেলের সকল স্তরের কর্মীরা অংশগ্রহণ করবে।’ এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সকল সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে ‘সিটিসেল কর্মীদের ব্যাপারে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় বা বিটিআরসি কোনো মতামত বা অভিমত প্রদান করতে পারে না। এ বিষয়ে সরকারের পরামর্শ দেওয়া বা হস্তক্ষেপ করার কোনও সুযোগ নেই।”