প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতি নিয়ে যে কথা বলে, আমি তো পার্লামেন্টে বলেছি- কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে আমাকে তথ্য দেন, আমি ব্যবস্থা নেবো। (দুর্নীতির কথা) শুধু মুখে মুখে বললে তো হবে না। এখন এমন এমন লোকজনের কাছ থেকে আমাকে শুনতে হচ্ছে যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত।’
আজ শনিবার আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, জনগণকে দেয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সব সময় জাতির কল্যাণে কাজ করে এবং দেশের মানুষ এর সুফল ও পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ জনগণকে যে কথা দেয় সে কথা রাখে। জাতির কল্যাণে আমরা কাজ করি এবং মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সব সময় তারা জনগণকে দেয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নির্বাচনী ইশতেহারকে স্মরণ রেখে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার দেশেবাসীর কাছে উপস্থাপন করে এবং সবসময় তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষা করে, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের যে আমুল পরিবর্তন ঘটেছে তা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। নানা ধরনের কথা রটায় কিন্তু মুলত একটা পরিবর্তন যে এসেছে মানুষের জীবনযাত্রায় আর তাছাড়া রাস্তা-ঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থারতো আমরা প্রভূত উন্নতি করেছি। তারপরও এসব উন্নতিও অনেকে চোখে দেখেও না দেখার ভান করে, স্বীকার করতে চায় না, করতে চাইবেও না। কিন্তু যেটা আমি সবসময় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে সে ওয়াদা রক্ষা করে।
সরকার প্রধান বলেন, প্রত্যেক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে আমরা ঘর করে দিচ্ছি, আমাদের কথা ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালাবো সেটাও আমরা পেরেছি।
তিনি বলেন, দেশে এর মধ্যে দারিদ্রের হার অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে এই হার আরো ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হতো।
সবাই মিলে বিশ্ব মন্দা মোকাবেলা করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের বোঝা থেকে মানুষকে মুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের কোথায় কি দুর্নীতি হয়েছে সে তথ্য দিতেও জাতীয় সংসদে আহ্বান জানানো হয়েছে। কাজেই শুধু মুখে দুর্নীতির কথা বললেই হবে না, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এখন এমন লোকেদের কাছে দুর্নীতির কথা শুনতে হয় যারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তাদের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা করতে গিয়ে গরীব মানুষের ওপর এমন চাপ, যাদের সুদ দিতে গিয়ে ঘর-বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলেই যেতে হয়েছে অথবা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু এই গরীব মানুষের টাকা দিয়েই বিদেশে নামধাম করে তারা ভালই আছে, প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগও করছে। এই টাকাতো গরীবের রক্তের কামানো টাকা, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এতো উন্নতি করার পরও একটা শ্রেণি আছে, যাদের কোন কিছুই ভালো লাগে না।