প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে জেলা প্রশাসকদের উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
ঢাকায় জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ডিসিদের সাথে বিশদ বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনাই হয়ছে। মোটা দাগে আমরা তাদের বললাম- সচেতনতা আমাদের মূল। আমি ডিসিদের বললাম, আপনারা প্রবাসীদের নানা বিষয়ের দিকে একটু নজর দেন।”
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এদিন জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী; সেখান থেকে বেরিয়ে প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ নানা জটিলতা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ইমরান আহমদ বলেন, “পাসপোর্ট নিয়ে জটিলতা মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমস্যা। প্রবাস শব্দটা এলেই মনে হয়, এটা বোধহয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা তা না। আমরা কো-অর্ডিনেটর হিসেবে চেষ্টা করি, যেন সমন্বয়ের মাধ্যমে এগুলো সমাধান করে ফেলা যায়।
“যারা বিদেশে গেছে বিভিন্ন কারণে, তারা হয়ত পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলে এমন বিভিন্ন সমস্যা আছে। তাদেরকে নতুন পাসপোর্ট দিতে গেলে তারা যে তথ্য দেন তা মূল পাসপোর্টের সাথে মেলে না। তথ্য না মিললেও আঙুলের ছাপ মিলে যায়, তখন সিস্টেম ধরে। এইজন্য দেখি আমরা কী করতে পারি।”
মন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তার কারণে আমরা কোনো ছাড় দিচ্ছি না বলে রাতারাতি এর সমাধান হচ্ছে না। কারণ, সবুজ পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মানও আমাদের ধরে রাখতে হবে।”
প্রবাস থেকে হুন্ডিসহ নানা অবৈধ পন্থায় অর্থ পাঠানো নিয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে এতে ‘কে লাভবান আর কে ক্ষতিগ্রস্ ‘ হচ্ছে- তা খুঁজে দেখতে সাংবাদমাধ্যমের পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।
প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার পেছনে ‘বৈশ্বিক আর্থিক সংকটকে’ দায়ী করে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, “১০-১১ বছর আগে সে (ব্যক্তি) প্রবাসে যে খরচ করত, সেটা কী এখনও এক আছে? সারাবিশ্বে যেহেতু একটা কারেন্সি সংকট চলছে, তাই আমরা ব্যথা একটু বেশি অনুভব করছি।”
মালয়েশিয়া যেতে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগছে- এ বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “এক হাতে তালি বাজে না। এখানে বাংলাদেশ, ওখানে মালয়েশিয়া। সিস্টেমের পার্থক্যের কারণে এরকম হচ্ছে। আমি খুশি না যে আমাদের প্রবাসীদের এত টাকা লাগছে।
“আমরাও খবর রাখি। আমার জানা মতে, সাড়ে ৩-৪ লাখ টাকা লাগছে। তাদের মন্ত্রী আসছেন, আগামী সপ্তাহ নাগাদ তিনি চলে আসবেন। আলোচনা হবে, দেখি ফলাফল কী বের করতে পারি।“