জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদনকারীদের শনাক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে অনেক জায়গায় আবেদন জমা না নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে এক জায়গায় জমা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয়সভায় বিষয়টি আলোচনার সূত্রপাত করেন এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর। এর আগে তিনি নিজেই এনআইডি সংশোধনের আবেদন করতে আসা দালাল ধরেছিলেন।
সমন্বয় সভায় এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সব উইংয়ের চিঠিগুলো ডেসপাচ শাখায় গ্রহণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাধারণ সেবা শাখায় ইউ নোট পাঠানো হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় যে, একই ব্যক্তি ৭/৮ জনের আবেদনপত্র দাখিল করেন। সেক্ষেত্রে একই জায়গায় পত্র গ্রহণ করা হলে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ওই ব্যক্তিগুলো সহজে শনাক্ত করা যাবে।’
তার প্রস্তাবের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, ‘এখন সব আবেদনপত্র কেন্দ্রীয়ভাবে একই স্থানে গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে এনআইডির আবেদন গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে লোকবল এনআইডি অনু্বিভাগ থেকে নিয়োজিত করতে হবে।’
এদিকে বৈঠকে এনআইডি মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘অবিতরণকৃত স্মার্ট আইডি কার্ডগুলো কাগজের প্যাকেটে রক্ষিত থাকায় কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবিতরণকৃত কার্ডগুলো রি-বক্সিং করার জন্য প্লাস্টিক প্যাকেট দেওয়া প্রয়োজন।’
মহাপরিচালক জানান, অবিতরণকৃত স্মার্ট আইডি কার্ডগুলো দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে যার আইডি কার্ড তাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও ক্রমেই একজনের আইডি কার্ড অন্য জনকে দেওয়া যাবে না। আইডি কার্ড দেওয়ার সময় ভোটারদের বায়োমেট্রিক্স সঠিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সভাপতির নির্দেশনা কামনা করেন।
সভাপতি ইসি সচিব বলেন, ‘অবিতরণকৃত আইডি কার্ড বিতরণের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে।’
এ পর্যন্ত ৭ কোটি ৩০ লাখের মতো স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করেছে ইসি। এগুলোর মধ্যে অনেকেই কার্ড সংগ্রহ করেনি। আবার কারো কারো কার্ড বিতরণ করাও হয়নি। ফলে মাঠ কার্যালয়ে এখনো অনেকের কার্ড রয়েছে, যা নষ্ট হচ্ছে।