মধ্যপ্রাচ্য নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও জঙ্গিবাদে অর্থায়নের জন্য টাকা এসেছে। জঙ্গিবাদে অর্থায়নের জন্য বিদেশ থেকে টাকা আসার ঘটনাগুলো তদন্তের ক্ষমতা চায় পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন।
অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট প্রধান বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও জঙ্গিবাদে অর্থায়নের জন্য টাকা এসেছে। জঙ্গিদের পেছনে অর্থের জোগানদাতাদেরও খুঁজে বের করতে কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এ ধরনের অভিযোগগুলো কেবল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি তদন্ত করে। কিন্তু জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কাজ করা পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এটিইউ এবং সিটিটিসি আইনের সংশোধন চায়। এ জন্য আইনের সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ পুলিশের এটিইউ এবং সিটিটিসি তদন্ত করতে পারে।’
এসএম রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নিয়ে কখনো তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কোনো সুযোগ নেই। জঙ্গিরা সব সময় চাইবেই আমাদেরকে আউট স্মার্ট করার জন্য। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে যে আমাদেরকে তারা যেন আউট স্মার্ট না করতে পারে। আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। আমরা জানি জঙ্গিরা এখন সেই অর্থে এখন সংগঠিত আকারে নেই। তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধকরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এর আগে ‘জঙ্গিবাদ দমনে বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ভূমিকা ও কৌশল’ বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন তিনি। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন ও রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান। পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।