রপ্তানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন বাজার বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, ‘পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি, সেবাখাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সরকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের অনুকূল নীতি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি, বেসরকারি খাতকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
আজ ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ বিতরণ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। “জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০২০” বিতরণ অনুষ্ঠান হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত- একথা জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রপ্তানি বাণিজ্যের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যে সকল প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখিয়ে অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন, তাদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করা হলে, নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণে তা সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের সরকার ব্যবসায় নানা ধরনের প্রণোদনা প্রদান করে আসছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় মোট রপ্তানি আয় ছিল ১৫.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত বছরসমূহে অব্যাহত নীতি সহায়তার ফলে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬০.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম জুলাই-ফেব্রুয়ারি পণ্য খাতের অর্জিত আয় ৩৭.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের রপ্তানি আয় ৩৩.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ৯.৫৬ শতাংশ বেশি। তিনি ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।