যুক্তরাজ্যের পথ সহজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য

বাংলাদেশিসহ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরই স্বপ্নের দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে যুক্তরাজ্যকে। এবার সেই স্বপ্নপূরণের পথ আরও সুগম হতে চলেছে। শিক্ষা পরবর্তী কাজ ও বসবাসের সুযোগও থাকছে দেশটিতে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে লন্ডনে আয়োজিত এক এডুকেশন ফেয়ারে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইউকে ইউনিভার্সিটি এডমিশন ফেয়ারে উচ্চশিক্ষার নানা সুযোগ সুবিধা তুলে ধরছেন আয়োজকেরা।

বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই যুক্তরাজ্যের অবস্থান। যদিও, কোন কোন ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় সবার ওপরে অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজের মতো দেশটির বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্প্রতি লন্ডনে হয়ে গেলো ইউকে ইউনিভার্সিটি এডমিশন ফেয়ার ২০২৩। যেখানে একই ছাদের নিচে অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা তুলে ধরেন তাদের উচ্চশিক্ষার নানা সুযোগ সুবিধা।

ব্রেক্সিট পরবর্তী উদার অভিবাসন নীতিমালার ফলে যুক্তরাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিচ্ছে আর্থিক বৃত্তিসহ নানা সুযোগ সুবিধা। বর্তমান সময়ে ব্রিটেনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আসার হারও ছাড়িয়েছে গেছে এক দশকের রেকর্ড।

ইউনির্ভাসিটি অব ইয়র্কের রিজিওনাল ম্যানেজার হ্যারি জু বলেন, বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেপ্টেম্বর সেশনে ভর্তি চলছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নতুন নতুন কোর্স চালু করেছে।

এছাড়া কোর্স শেষে যুক্তরাজ্যে পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক স্কিমের আওতায় কাজের সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

ইউনির্ভাসিটি অব ড্যান্ডির ইন্টারন্যাশনাল অফিসার ক্রিস্টি ফারসের বলেন, ‘বাংলাদেশিসহ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা। বাংলাদেশেও আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে সহজেই তারা ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে।’

ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষার জন্য আসার আগে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা পরবর্তী সুযোগ সুবিধা যাচাই বাছাই করে আসার পরামর্শ দিয়েছেন মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

গত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকেই ব্রিটেনে উচ্চ শিক্ষার্থে এসেছে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী। বাংলাদেশসহ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা, কাজ ও অভিবাসন নিয়ম-নীতি ধাপে ধাপে শিথিল করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.