আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম আরও বেড়েছে। এবার সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ পয়সা বেড়েছে। সোমবার আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার সর্বনিম্ন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের দাম ছিল সর্বনিম্ন ১০৭ টাকা ৯৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা। ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং আমদানির দায় মেটাতে এর চাহিদা বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। এ কারণে এর দাম বাড়ছে।
এর আগে ২ মে থেকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলারের দাম এক টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এর প্রভাবে ৪ মে থেকে আমদানিতেও ডলারের দাম এক থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে এখন রপ্তানি বিল বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা করে। রেমিট্যান্সে ডলার কেনা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা করে। আমদানিতে ডলারের দাম প্রায় ১০৯ টাকা। তবে কিছু ব্যাংক ১০৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা দরে বিক্রি করছে। বেশিরভাগ ব্যাংকই আমদানিতে ডলারের দাম ১০৮ টাকার বেশি ও ১০৯ টাকার সামান্য কম।
তবে অনেক ব্যাংক এরচেয়ে বেশি দামে আমদানিতে ডলার বিক্রি করছে। তারা প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১২২ টাকাও নিচ্ছে। ডলারের দর ১০৮ টাকা দেখিয়ে বাকি টাকা অন্য খাতে দেখাচ্ছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করে দেখছে।
আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম বাড়ায় এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে অন্যান্য মুদ্রার দামও বেড়েছে। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা প্রতি ইউরো বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ১১৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা ৬৫ পয়সা দরে। যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ড বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ১৩৩ টাকা ২১ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকা ৪৩ পয়সা দরে।
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাশ্রয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও ডলারের জোগান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন আগের এলসির দেনা পরিশোধ করতে যেমন হিমশিম খাচ্ছে। নতুন এলসি খোলা অনেকটা কমে গেছে।