বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আবারো নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। যা তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
গতকাল বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মূখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানানোর পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ ১৩টি বিদেশী মিশনের প্রধানদের তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে তারা জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীকেও ডেকে পাঠায়।
প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে বেদান্তের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল আপনি, সব পশ্চিমা মিত্র ও উন্নয়ন সহযোগী অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছেন, কিন্তু সরকার ঢাকায় কূটনীতিকদের ডেকে পাঠাচ্ছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া কী?
সুনির্দিষ্ট কোনো ঘটনা উল্লেখ না করেই জবাব দেন বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট বলেছি যে গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতা স্থান পায় না এবং যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এ মুখপাত্র আরো বলেন, আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছি। এটা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা বিশ্বাস করি যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একটি অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক বাংলাদেশী সরকারি অনেক কর্মকর্তা বলেছেন এটি তাদেরও লক্ষ্য।