ডিম আমদানি করা হলে দেশের পোলট্রি খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সহসভাপতি আনোয়ারুল হক।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংকট দূর করতে গিয়ে ডিম আমদানি করা হলে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। তারা খামার বন্ধ করে দেবেন, দেশীয় উৎপাদন কমে যাবে। এর ফলে ভোক্তাদের একটি ডিম ২০ টাকায় কিনতে হবে।’
গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি ডিম-মুরগির দাম বৃদ্ধিতে তাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই উল্লেখ করে পোলট্রি খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলেন, ‘মধ্যস্বত্বভোগীরাই দাম বাড়াচ্ছে। সরকার কেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে না? সেটি না করে সরকার ডিম আমদানির কথা বলছে। সরকার যদি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় তাহলে দেশের পোলট্রি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এ শিল্প ধ্বংস হলে দেশের মানুষকে ২০ টাকা পিসে ডিম খেতে হবে।’
উৎপাদন খরচের বিপরীতে নায্য দাম না পাওয়া, অপপ্রচার এবং বাজার তদারকি সংস্থার চাপের কারণে প্রান্তিক খামারিরা দিন দিন আরো বেশি প্রান্তিক হয়ে পড়ছেন। এরই মধ্যে প্রচুর খামার বন্ধ হয়ে গেছে, কমেছে উৎপাদন। এ অবস্থা চলতে থাকলে ডিম-মাংসের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, দেখা দেবে পুষ্টি ঘাটতি। তাই প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা এবং ডিম-মুরগির উৎপাদন বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পোলট্রি সংশ্লিষ্টরা।
বিপিআইসিসির সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ‘২০২২ ও ২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময় ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী খামারিরা লোকসান করেছেন, উৎপাদন খরচের চেয়েও কম মূল্যে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়েও খামারিরা চেষ্টা করেছেন উৎপাদন সচল রাখতে, দেশের মানুষের জন্য প্রোটিন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে। এজন্য তাদের প্রশংসা পাওয়ার কথা ছিল অথচ খামারি ও উদ্যোক্তাদের ললাটে জোটে অপবাদ আর অপমান।
মধ্যস্বত্বভোগীরা অন্যায্য মুনাফা করেছে, অথচ খড়্গ নেমেছে উৎপাদকদের ওপর। পোলট্রি শিল্পের চলমান সংকট নিরসনের মাধ্যমে এ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’