দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সফরটা অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। বিশেষ করে, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে আমাদের বাণিজ্যিক নানা পথ প্রশস্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় গণভবনে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ও একে অপরের সহযোগিতার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে।
১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২২ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও ব্রিকস চেয়ার সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট (ইকে-৭৬৫) ওইদিন স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
তিন দিনব্যাপী ব্রিকস সম্মেলন চলে ২২-২৪ আগস্ট। সম্মেলনের ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ব্রিকসে যোগদানে সহায়তা এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতে চীন সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন জিনপিং।
সফর শেষে গতকাল রোববার সকাল ৮টা ৩১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট (ইকে-৫৮২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এবারের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এবারের সম্মেলনে আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ব্রিকস জোটের পূর্ণ সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই দেশগুলোর সদস্যপদ ২০২৪ এর জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। নতুন ছয় দেশ নিয়ে ব্রিকসের সদস্য দেশ হতে যাচ্ছে ১১টি। তবে বাংলাদেশ সদস্যপদ পেতে আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত তাতে সায় মেলেনি।