টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসন বন্ধের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।
স্থানীয় সময় রোববার জার্মানির একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন। খবর সিএনএন।
সাক্ষাৎকারে ইয়ানেস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘বেশির ভাগ যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় যে ধারণা করা হয়, তার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলতে থাকে। তাই ইউক্রেনেও দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য অবশ্যই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, আমরা সবাই দ্রুত শান্তি কামনা করছি। তবে একই সময়ে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, যদি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধ করা বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের দেশ (ইউক্রেন) আর থাকবে না। তবে যদি প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিন এবং রাশিয়া তাদের অস্ত্র ফেলে দেয়, তাহলে আমরা শান্তি অর্জন করতে পারব।’
এদিকে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইউক্রেন শেষ পর্যন্ত ন্যাটোতে (সদস্য হিসেবে) থাকবে।’
তিনি বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত জোটের শীর্ষ সম্মেলনে কিয়েভ ‘ন্যাটোর কাছাকাছি চলে এসেছে’। তার ভাষায়, ‘যখন এই যুদ্ধ শেষ হবে, তখন আমাদের ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। অন্যথায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এতে করে গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপে যুদ্ধ ফিরে আসে। তবে কিয়েভ গত বছরের জুনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে এবং দেশের দক্ষিণ ও পূর্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করে। যদিও পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনের অর্জন এখন পর্যন্ত খুবই সীমিত।