দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা হয়েছে। গত ৩০ জুলাই আইনটির বিভিন্ন (২৫/২৮/২৯/৩১) ধারায় মামলা করেন প্রভাত সাহা নামে এক ব্যক্তি।
মামলার বাদী প্রভাত সাহা আওয়ামী লীগের ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি দবিরুল ইসলামের কর্মী। তিনি নিজেকে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের বালিয়াডাঙ্গী শাখার সভাপতি বলেও দাবি করেছেন।
গত ৩০ জুলাই সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁওয়ে (বিচারক রহিমা খাতুনের আদালত) মামলাটি হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পিবিআই জানায়, মামলার অভিযোগের বিষয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে এমপি দবিরুলের আত্মীয় স্বজনরা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের জমির জাল দলিল তৈরিতে প্রভাবশালীদের সহযোগিতা করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করে “জাগো বাহে” নামে একটি আইডি। বিষয়টি মামলার বাদীর চোখে পড়ে।
জাতীয় হিন্দু মহাজোটের বালিয়াডাঙ্গী শাখার সভাপতি প্রভাত সাহা মামলার এজাহারে বলেন, “এমপি দবিরুল তার প্রিয় নেতা। ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।”
বাদী মনে করেন, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী অপরাধ।
উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে “আওয়ামী লীগের জরিপের কাজ শেষ পর্যায়ে/বর্তমান এমপি বাদের তালিকা হবে দীর্ঘ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক সপ্তাহ পর ৩০ জুলাই প্রভাত সাহা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
জানা গেছে, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য যে নির্দেশনা দেন তা ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে পৌঁছে ৩ সেপ্টেম্বর।
সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঠাকুরগাঁও সাংবাদিক ইউনিয়ন।