যেসব যাত্রীবাহী ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে লাগেজ ভ্যান

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে আন্তঃনগর ট্রেনে আজ থেকে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক লাগেজ ভ্যান।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজ রোববার কমলাপুর রেলস্টেশনে এর উদ্বোধন করবেন।

সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে পণ্যবাহী বগি সংযোজনের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনে পণ্য পরিবহন শুরু করতে চায় রেলওয়ে। মোট ২০টি ভ্যানের মাধ্যমে শুরু হওয়া কর্মসূচীর আওতায় ১৫ ট্রেনে ১৬ লাগেজ ওয়াগন যুক্ত করা হবে। এর বাইরে চারটি প্রান্তিক স্টেশনে চারটি ওয়াগন অপেক্ষমান রাখা হবে।

রেলওয়ের অপারেশন বিভাগ সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে ১২৫টি পণ্যবাহী বগি চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে ৭৫টি মিটারগেজ লাইনের ট্রেনে ও ৫০টা ব্রডগেজ লাইনের ট্রেন। ব্রডগেজে ১০টা ফ্রিজার ওয়াগন ও মিটারগেজে ১৬টা ফ্রিজার ওয়াগন থাকবে।

সূত্র জানায়, পূর্বাঞ্চল রেলের ঢাকা-সিলেট রুটের পারাবাত, জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটের হাওর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের পাহাড়িকা ও উদয়ন, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটের বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটের ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, ঢাকা-ভূঞাপুর রুটের জামালপুর এক্সপ্রেসে একটি করে ওয়াগন থাকবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর এক্সপ্রেসে একটি লাগেজ ভ্যান থাকলেও এই রুটের চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে দুটি লাগেজ ভ্যান যুক্ত হবে।

এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকা-রংপুর রুটের রংপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও ঢাকা-লালমনিরহাট রুটের লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি করে লাগেজ ভ্যান যুক্ত হবে।

জানা গেছে, চীন থেকে ৭৫টি লাগেজ ভ্যান আমদানি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রথম লটের ২০টি লাগেজ ভ্যান বিভিন্ন ট্রেনে ব্যবহার, লোডিং, আনলোডিং স্টেশন নির্ধারণ করেছে পরিবহন বিভাগ। ২০টি লাগেজ ভ্যানের মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ১৩ ও পশ্চিমাঞ্চলে তিনটি যুক্ত হচ্ছে; বাকি চারটি স্পেয়ার হিসেবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও লালমনিরহাট ইয়ার্ডে থাকবে।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবাত এক্সপ্রেস ট্রেনের লাগেজ ভ্যানে ঢাকা ও সিলেট থেকে পণ্য তোলা ও নামানো যাবে। পাহাড়িকা ও উদয়নে পণ্য উঠানো যাবে চট্টগ্রাম, সিলেট, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে।

বিজয় এক্সপ্রেসে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, গৌরীপুর, কিশোরগঞ্জ ও ভৈরববাজার, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে ঢাকা, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহবাজার, ইসলামপুর বাজার, জামালপুর এক্সপ্রেসে ঢাকা, তারাকান্দি, জামালপুর, সরিষাবাড়ী, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসে ঢাকা, নরসিংদী, ভৈরববাজার, কিশোরগঞ্জ, হাওর এক্সপ্রেসে ঢাকা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, মোহনগঞ্জ, মহানগর এক্সপ্রেসে চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, লাকসাম, জয়ন্তিকা ও উপবনে ঢাকা, সিলেট, শায়েস্তাগঞ্জ, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, ভৈরববাজার, ফেনী ও লাকসাম স্টেশন থেকে পণ্য লোডিং-আনলোডিং করা যাবে।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, মালামাল পরিবহনের জন্য প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে লাগেজ কোচ যুক্ত করা হবে। কৃষক তাদের পণ্য সরবরাহ করবে। একই সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচও যুক্ত হবে। ফলে খুলনা বা কক্সবাজার থেকে মাছ ও অন্যান্য পণ্য আনা যাবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.