শ্রম আইন সংশোধন করে বিল পাশ
শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ট্রেড ইউনিয়ন সুবিধা বৃদ্ধিসহ বেশকিছু সংশোধনী এনে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে এমন বিধানসহ শ্রম আইনের বেশকিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে বিলটি পাশ হয়। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সংসদে বিলটি পাশের প্রস্তাব করেন এবং তা কণ্ঠভোটে এটি পাশ হয়।
বিলে বলা হয়, বিলে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৮ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কোনো মালিক তার প্রতিষ্ঠানে সজ্ঞানে কোনো নারীকে তার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে কোনো কাজ করাতে পারবেন না বা কোনো নারী ওই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন না।
বিলে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদের বিধানাবলি হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষেত্রে যেভাবে প্রযোজ্য হয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রেও সেভাবে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল বিভাগে আপিল করতে হবে।
এ ছাড়া বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ২০ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত আবেদন লাগে। এখন সেটিকে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকদের মোট সংখ্যা তিন হাজার পর্যন্ত হলে শতকরা ২০ ভাগ এবং তিন হাজারের বেশি হলে শতকরা ১৫ ভাগ ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য না হলে তা নিবন্ধনের অধিকারী হবে না।
একই মালিকের অধীন একাধিক প্রতিষ্ঠান যদি একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে একে অপরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত হয় তাহলে এসব প্রতিষ্ঠান যেখানেই স্থাপিত হোক না কেন, তা একটি প্রতিষ্ঠান বলেই গণ্য হবে।