চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই যান চলাচলের জন্য নগরের পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ খুলে দেওয়া হবে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়িত দুটি সড়ক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে বাকলিয়া সংযোগ সড়ক এবং বায়েজিদ-ভাটিয়ারী সংযোগ সড়ক। এই দুটি সড়কে ইতিমধ্যে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলোর কারণে চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনসহ যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক দ্রুত ও সহজ বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএর কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, নগরের পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অবশ্য ২০১৭ সালে অনুমোদনের সময় প্রকল্প ব্যয় ছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। অনুমোদনের প্রায় দুই বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
এখন প্রাথমিকভাবে পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত অংশ চালু হবে। আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার জন্য ১৪টি র্যাম্প থাকার কথা থাকলেও তা এখনই চালু হচ্ছে না। সম্প্রতি এগুলোর জন্য দরপত্র দেওয়া হয়েছে। টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত অংশের কাজ বাকি রয়েছে। অর্থাৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরোপুরি সুফল এখনই পাওয়া যাবে না। মূলত চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াত দ্রুত ও নির্বিঘ্ন করার জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে