৩ বছরেও বিমানের কেবিন ক্রুদের জেষ্ঠ্যতার তালিকা এফসিপিতে উঠেনি!

biman-bangladesh-cabin-crewএভিয়েশন নিউজ: রহস্যজনক কারণে গত ৩ বছরেও বিমানের ফ্লাইট স্টুয়ার্ড/স্টুয়াডেসদের জেষ্ঠ্যতার তালিকা এফসিপিতে (ফাইনাল ক্রু পজেশনিং) উঠানো হচ্ছে না। বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়ায় কেবিন ক্রুদের মধ্যে চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ফ্লাইটের কাজেও বিঘ্ন ঘটছে। কে সিনিয়র, কে জুনিয়র তাও জানা যাচ্ছে না। হচ্ছে দুর্নীতি। এতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। বাড়ছে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ড। সম্প্রতি সোনা চোরাচালান বাড়ার নেপথ্যেও কেবিন ক্রুদের মধ্যে চলমান অস্বস্তিকে দায়ি বলে মনে করছেন অনেকে। এই অবস্থায় এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা অবিলম্বে বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য বিমানের নতুন এমডি কাইল ও পরিচালণা পর্যদকে অনুরোধ করেছেন। অন্যথা দীর্ঘ মেয়াদে এটি বিমানের উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। কেউ কাউকে মানবে না। এই সুযোগ নিয়ে তৃতীয় পক্ষ বিমানে বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে ফায়দা আদায় করারও চেষ্টা করতে পারে।

জানাগেছে ২০১২ সালে ১৪৮ জন কেবিন ক্রুর মধ্যে ১০৭ জনকে শর্ত সাপেক্ষে গ্রুপ-৫এ পদোন্নতি দেয়া হয়। এরপর তাদের মধ্যে জেষ্ঠ্যতার তালিকা তৈরী করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বিমানের একটি সিন্ডিকেট তৈরী করা জেষ্ঠ্যতার তালিকাটি গায়েব করে দেয়। এরপর চুক্তিভিত্তিক (গ্রুপ-৫) নিয়োগ পাওয়া ৫ জুনিয়র পার্সারকে এফসিপি তালিকার শীর্ষে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে সিনিয়রিটি দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে চক্রটি। এজন্য বিভিন্ন সেক্টর থেকে নানা দেনদরবারও চলে। কিন্তু আইনের কারণে সে করা সম্ভব হয়নি।

বিমানের আইন অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জেষ্ঠ্যতার জন্য বিবেচিত হবে না। একই সঙ্গে এফসিপি লিস্টেও তাদের নাম স্থায়ী ফ্লাইট কর্মীদের সঙ্গে তালিকায় উঠবে না। তাদের নাম থাকবে গ্রুপ-৫ এর স্থায়ী কর্মীদের নিচে। কারণ ৯০ দিন পরপরই তারা নতুন করে নিয়োগ পায়।cabin crow-2

বিমান পরিচালণা পর্যদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন বলেছেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কোন ফ্লাইট স্টুয়ার্ডের সিনিয়রটির জন্য আবেদন করার সুযোগ নাই। ৫ জন জুনিয়র পার্সারকে গ্রুপ-৫ এ কিছু শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শর্তানুযায়ী তারা শুধু সেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। শর্তের বাইরে তারা অন্য কোন সুযোগ পাবে না। একই ভাবে ১০৭ জন জুনিয়র পার্সার যারা গ্রুপ-৪ এর সুযোগ সুবিধা নেয়ার কথা বলে শর্ত স্বাপেক্ষ গ্রুপ-৫ এ পদোন্নতি পেয়েছে তারাও শুধু সংশ্লিষ্ট সুযোগ সুবিধা পাবে। গ্রুপ -৫ এর নিয়মিত সব সুযোগ সুবিধা তারা পাবেন না। তবে একটি ফ্লাইটে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া গ্রুপ-৫ এর একজন জুনিয়র পার্সার আর শর্ত সাপেক্ষে গ্রুপ-৪ থেকে গ্রুপ-৫ এ পদোন্নতি পাওয়া একজন জুনিয়র পার্সার উঠলে তাদের মধ্যে কে জেষ্ঠ্য হবে সে ব্যাপারে তিনি কোন তথ্য দিতে পারেননি। বিষয়টি তিনি দুই গ্রুপের চুক্তিপত্র দেখে জানাবেন বলেও জানান। তার মতে এ বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তি হওয়া দরকার। কারণ এনিয়ে সংস্থার চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়তে পারে। বিষয়টি নিরসনের জন্য তিনি বিমানের নতুন এমডি ও পরিচালক কাস্টমার সার্ভিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানাবেন বলেও জানান।

তবে নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ৫ জুনিয়র পার্সার কোনভাবেই (শর্তসাপেক্ষে) পদোন্নতি পাওয়া স্থায়ী গ্রুপ-৫ এর ক্রুদের চেয়ে সিনিয়র হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ প্রতি ৯০ দিন পর পরই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়াদের চাকরীর মেয়াদ শেষ হয়ে হয়ে যায়। তারা বয়সে জেষ্ঠ্য হলেও আইনের দৃস্টিতে ৯০ দিন পর পর জুনিয়র হয়ে যায়। কাজেই এফসিপিতে তাদের নাম স্থায়ী ১০২ জনের আগে দেয়ার সুযোগ নেই।

একইভাবে বয়সে সিনিয়র হলেও ফ্লাইটে তারা গ্রুপ-৫ এর স্থায়ী কর্মীদের আন্ডারে কাজ করতে হবে। তবে যদি নিয়োগ পাওয়ার সময় গ্রুপ-৫ এর সুবিধা অনুযায়ী আউট স্টেশনে সিঙ্গেল রুম পাওয়ার জন্য চুক্তিভুক্ত হয়ে থাকেন তবে তারা জুনিয়র হলেও আউট স্টেশনে সিঙ্গেল রুম পাওয়ার দাবিদার।

তবে সরকারি অডিট আপত্তিতে বলা হয়েছে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ৫ জুনিয়র পার্সার দিলরুবা আক্তার, ফাওমিদা, সায়দা নাজনিন, ফারহানা আহমেদ, নাহিদ সুলতানার আউট স্টেশনে সিঙ্গেল রুম প্রাপ্তি অবৈধ। সম্প্রতি এক অডিট আপত্তিতে তারা বলেছে, বাইরের স্টেশনগুলোতে পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মচারীগন ২ জন এক রুম ব্যবহার করবেন বলে পদোন্নতির সময় অঙ্গীকার করলেও দৈনিক ভিত্তিক জুনিয়র পার্সারদের অনৈতিকভাবে সিঙ্গেল রুম দেয়া হচ্ছে। এটি নিয়োপত্রের শর্তের পরিপন্থি বলেও তারা উল্লেখ করেন।

Cabin Crow-1অডিট আপত্তিতে বলা হয় বিমানের ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯০ দিনের ভিত্তিতে ক্যাজুয়েল জুনিয়র পার্সার/ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ পত্রের ১ নম্বর শর্তানুযায়ী তাদেরকে প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের জন্য নৈমত্তিক নিয়োগ করা হয় এবং পরবর্তীতে সন্তোষজনক চাকুরীর ভিত্তিতে সময়কাল নবায়নযোগ্য। ২ নম্বর শর্তানুযায়ী জুনিয়র পার্সারদের মাসিক সাকুল্যে বেতন ১৮ হাজার টাকা। এছাড়া ফ্লাইট স্টুয়ার্ডদের মাসিক ১৫ হাজার টাকা হারে ৬৫ ঘন্টা ফ্লাই আওয়ারের জন্য মাসিক সর্বোচ্চ ১২শ মার্কিন ডলার মিল এলাউন্স দিতে হবে। ৩ ও ৪ নম্বর শর্তানুযায়ী তারা ইউনির্ফম এলাউন্স, ট্রান্সপোর্ট এলাউন্স, মেডিক্যাল এলাউন্স পাবেন। এর বাইরে অন্য কোন আর্থিক সুবিধা পাবে না।

বিমান সুত্রে জানাগেছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ৫ জুনিয়ার পার্সার হলেন ক্রমিক নম্বর ১৪৯ এ থাকা সৈয়দা নাজনিন সানজিদা (সি-১৬১৬), ক্রমিক নম্বর ১৫০ এ থাকা দিলরুবা আহমেদ নাহিদ (সি-১৬৬২), ক্রমিক নম্বর ১৫১তে থাকা ফাহমিদা পারভিন জয়া (সি-১৬২২), ক্রমিক নম্বর ১৫২তে থাকা ফারহানা আহমেদ কোয়েল (সি ১৬২৩) ও ১৫৩ ক্রমিক নম্বরে থাকা নাহিদ সুলতানা চম্পা (সি-১৬২৮)। অভিযোগ এই ৬ পার্সারকে তালিকার শীর্ষে এনে এখন আবার নতুন করে জেষ্ঠ্যতার তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। যার কারণে আগের তালিকাটি তৈরী করলেও তা রহস্যজনক কারণে এফসিপিতে উঠানো হচ্ছে না।

কেবিন ক্রু এসোসিয়েশন সুত্রে জানাগেছে, এনিয়ে খোদ ক্রুদের মধ্যেও অসন্তোষ চলছে। ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে বিমানের কেবিন ক্রুদের মধ্যকার চেইন অব কমান্ড। কেউ কারো কথা শুনছে না। মানছে না। যে যেভাবে পারছে ফ্লাইট করছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত জুনিয়র পার্সারদের কাউতে সিনিয়রিটি দেয়ার কথা নয়। তারপরও এনিয়ে হচ্ছে ফাইল চালাচালি। সি- নম্বরধারী কেবিন ক্রুরা একের পর এক আবেদন করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট ম্যানেজমেন্টও সেটা আমলে নিয়ে কালক্ষেপন করছেন। একই সঙ্গে স্থ’ায়ী কর্মীদের বাদ দিয়ে (সি-নম্বর ধারী) ক্যাজেুয়াল ক্রুদের জেষ্ঠ্য কর্মী হিসাবে দেখিয়ে ফ্লাইট দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় তাদের বিমানের ভাল ভাল দেশে ফ্লাইট দেয়া হচ্ছে। বিলাসবহুল হোটেলের সিঙ্গেল রুম দেয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি সরকারি এক অডিট আপত্তিতেও বিষয়টি উল্লেখ করে এই ঘটনায় এক বছরে ১২ কোটি ২১ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করার অভিযোগ আনা হচ্ছে বিমানের বিরুদ্ধে। অডিট আপত্তিতে এই টাকা বিমানের ফান্ড থেকে না কেটে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (যারা এর জন্য দায়ি) কাছ থেকে আদায় করারও cabin crow-6পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জানাগেছে সিন্ডিকেটভুক্ত এসব ক্যাজেুয়েল ক্রু‘র খুটি এতটাই শক্তিশালী তাদের জেষ্ঠ্যতার আবেদন বিমানের ফ্লিট সার্ভিস বিভাগ, চিফ পার্সার, ফ্লাইট সার্ভিস, কাস্টমার সার্ভিস, পার্সোনাল বিভাগ, প্রশাসন, লিগ্যাল অ্যাপেয়ার্স থেকে স্পষ্টভাবে নাকচ করে দিলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ তা মানছে না।

বিমান সুত্র জানায় ২০১২ সালে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস উপ বিভাগের ৩ জন সি নম্বরধারী জুনিয়র পার্সার সিনিয়রিটির জন্য আবেদন করেন। এরা হলেন, মিসেস দিলরুবা আক্তার নাহিদ (সি ১৬২১), মিসেস ফাহমিদা পারভীন জয়া (সি-১৬২২), মিসেস ফারহানা আহমেদ কোয়েল (সি-১৬২৩)। এদের মধ্যে নাহিদ গত ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮১ সালে বিমানে যোগদান করেন। এয়ারলাইন্স বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সে হিসাবে বর্তমানে তার শুধুমাত্র চাকরীর মেয়াদই ৩৫ বছর। আর বয়স হিসাব করলে কোনভাবেই তিনি এখন আর বিমানের মতো একটি রাস্ট্রীয় এয়ারলাইন্সের এয়ারহোস্টেজ হওয়ার যোগ্য নন।

জয়া বিমানে যোগদান করেছেন ২ আগষ্ট ১৯৮৪ সালে। তার চাকরীর মেয়াদ ৩১ বছর। কোয়েল বিমানে যোগদান করেছেন ৩ আগষ্ট ১৯৮৯ সালে। তার চাকরীর মেয়াদ প্রায় ২৬ বছর। আন্তজাতিক আইন অনুযায়ী বিশ্বের সব এয়ারলাইন্স ২৫ বছর পার হলেই এয়ার হোস্টেজদের চাকরী থেকে বাদ দিয়ে দেয়। অথবা অন্য কোন পোস্টে নিয়োগ দেয়।

বিমানের পার্সোনাল বিভাগ সুত্র বলছে, গত ১ জুলাই তারা চাকরী হতে স্বেচ্চায় অবসর গ্রহন করেন। পরবর্তীতে গত ৯ অক্টোবর ২০১১ সালে ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে বিমানে যোগদান করেন। প্রশাসন বিভাগ বলেছে, বিমানে কর্মরত সি- নম্বরধারী (ক্যাজুয়াল) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেষ্ঠতা নির্ধারণের বিষয়ে কোন দিক নির্দেশনা নেই।

সেকারণে জেষ্ঠ্যতা প্রদানেরও কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া স্থায়ী কর্মচারীদের সাথে ক্যাজুয়াল ভিত্তিক কর্মকর্তাদের জেষ্ঠ্যতা একীভুত করারও কোন সুযোগ নেই। তবে আইন বিভাগের মতামত গ্রহন সাপেক্ষে চাকরীর দীর্ঘতা ও বয়সের জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে তাদের ডিউটি রোস্টার প্রণয়নের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এরপর ফাইলটি পাঠানো হয় প্রশাসন/এমপ্লয়মেন্ট বিভাগে। সেখানেও বলা হয় নিয়ম অনুযায়ী ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে নিয়োগকৃতদের সিনিয়রিটি দেয়ার কোন বিধান নেই। তারপরও তারা বিষয়টি আইন বিভাগে পাঠানোর সুপারিশ করে।

আইন বিভাগ থেকে এধরনের কর্মচারীদের জন্য সিনিয়রিটি দেয়ার কোন বিধান নেই বলে মতামত দিলে বিষয়টি গ্রাহকসেবা পরিদপ্তরে ফেরত প্রদান করা হয়।

cabin crow-4কিন্তু অভিযোগ রযেছে এরপরও সম্প্রতি তারা আবার সিনিয়রিটির জন্য বিমানের সংশ্লিস্ট শাখায় আবেদন করেছেন। সম্প্রতি সরকারি এক অডিট আপত্তিতে বলা হয়েছে, বিমানের সাংগঠনিক কাঠামোতে শুন্য পদ না থাকার পরও অনিয়মিতভাবে দৈনিক ভিত্তিতে ক্রু নিয়োগ করে বিমানের ৬৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি করা হয়েছে। এসব ক্রুদের ৯০ দিনের জন্য নিয়োগ করা হলেও রহস্যজন কারণে গত ৫ বছর ধরে তারা বিমানে কর্মরত আছে।

৯০ দিন পরপর তাদের চাকরীর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এদের মাসিক বেতন দেয়া হচ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা করে। নিয়ম অনুযায়ী বহি স্টেশনে ২ জন ক্রু একটি রুম ব্যবহারের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ক্রুদের সিঙ্গেল রুম দেয়া হচ্ছে। এতে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বিমানকে ৫ জনের জন্য ১২ কোটি ২১ লাখ টাকা অতিরিক্ত গচ্চা দিতে হয়েছে। এছাড়া ফ্লাইং এলাউন্স প্রদান করে প্রতি বছর বিমানকে গচ্চা দিতে হচ্ছে ২৫ লাখ ২ হাজার টাকা করে।
অপর দিকে ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই ১০৭ জন প্রমোশন প্রাপ্ত জুনিয়র পার্সারদের পক্ষে ৪৩ জন জুনিয়র পার্সার উড়োজাহাজে জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণের জন্য বিমানকে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, তারা শর্তসাপেক্ষে ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর পদোন্নতি পান। পরের বছর ১২ সেপ্টেম্বর সেটি স্থিরকরণ (কনফারমেশন) হয়। সংশ্লিষ্ট জুনিয়র পার্সারগণ প্রমোশন নেয়ার সময় ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকার নামাও জমা দেন। ওই অঙ্গীকার নামায় তারা নিজেদের মধ্যে রুম শেয়ারিং, নিজদের দায়িত্বে পাশাপাশি বেতন ক্রম- ৪ এর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু কোন সি নম্বরধারী ক্যাজুয়াল ক্রুর অধীনে নয়। চিঠিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত কেবিন ক্রুদের মধ্যে যারাই জেষ্ঠ্যতা পেয়েছেন সবাই পি- নম্বর ধারী। শুধু ১০৭ জন জুনিয়র পার্সার এর মধ্যে ব্যতিক্রম।

এই চিঠির প্রেক্ষিতে বিমানের প্রশাসন বিভাগ ৪ সেপ্টেম্বর ফাইলটি উত্থাপন করে। সেখানে বলা হয়, ফ্লাইট সার্ভিস উপ- বিভাগে ১০৭ জন ফ্লাইট স্টুয়ার্ড/স্টুয়ার্ডেস জুনিয়র পার্সার পদে পদোন্নতি পায়। কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ ফ্লাইটে তাদের জেষ্ঠ্যতা সি নম্বরধারী ক্রুদের উপরে থাকবে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়েছে ১০৭ জনের পক্ষে ৪৩ জন জুনিয়র পার্সার। কেন্দ্রীয় প্রশাসন ফ্লাইট সার্ভিস উপ বিভাগের পি- নম্বরধারী কেবিন ক্রুদের জেষ্ঠ্যতা তাদের বেতন বিভাগ অণুযায়ী ধারন করে আছে। সি নম্বর ধারী কেবিন ক্রুদের কোন জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণ করা হয়নি। কাজেই পি নম্বরধারী এবং সি-নম্বরধারী কেবিন ক্রুদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে জেষ্ঠ্যতা কিভাবে নির্ধারণ করা হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতামত নেয়া যেতে পারে।

ওই ফাইলে বলা হয়, স্থায়ী কর্মচারী এবং ক্যাজুয়্যাল ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীগণের জেষ্ঠ্যতা একীভুত নয়। ফ্লাইট সার্ভিস উপ বিভাগের মুসলেকা প্রদানের মাধ্যমে বেতন বিভাগ-৫ এ পদোন্নতি প্রাপ্ত স্থায়ী কর্মচারী জুনিয়র পার্সারগণ, বেতন বিভাগ-৫ এ নিয়োজিত ক্যাজুয়াল জুনিয়র পার্সারগণের জেষ্ঠ্য এ বিষয়ে দ্বিমত পোষন করা কোন সুযোগ নেই। উড়োজাহাজে দায়িত্ব বন্টনের ক্ষেত্রে জেষ্ঠ্যতা অনুসরণে বিষয়টি ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগের উপর বর্তায়। কিন্তু তারপরও রহস্যজনক কারণে ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ কর্মক্ষেত্রে তৈরী করা জেষ্ঠ্যতার তালিকাটি অনুসরণ করছে না। এমনকি জেষ্ঠ্যতার তালিকাটি এফসিপিতেও উঠাচ্ছে না। অভিযোগ তালিকা অনুসরণ না করে ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ প্রতি মাসে একটি সিন্ডিকেটের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা মাসোহারা পাচ্ছে। কারণ এফসিপি অনুরসণ করলে তাদের পছন্দের ক্রুদের পছন্দের ফ্লাইটে পাঠানো সম্ভব হবে না। এতে চোরাচালানসহ অনিয়ম দুনীতি বন্ধ হয়ে যাবে।

এভিয়েশন নিউজের হাতে আসা ২০১২ সালে তৈরী করা বিমানের জুনিয়র পার্সারদের জেষ্ঠ্যতার তালিকাটি নিšে§ তুলে ধরা হলcabin crow-5

১. জাহিদ হোসেন
২. ফেরদৌসি মাসুদ
৩. স্মৃতি কণা দাশ
৪. রাশেদা পারভিন
৫. আফরোজা খাতুন
৬. খাদিজা খাতুন
৭. হাসিনা আক্তার
৮. অঞ্জনা মুৎসদ্দি
৯. সাবিনা ইয়াসমিন
১০. তাহরিমা বেগম
১১. শাহনাজ বেগম
১২. পারভিন সুলতানা
১৩. মনিরা শাহনেওয়াজ নিরা
১৪. হাফসা আহমেদ শিল্পী
১৫. পারভিন সুলতানা (৩৪৪২১)
১৬. নাসরিন পারভিন
১৭. শবনম কাদির
১৮. কাজী রুবাইয়া সুলতানা কান্তা
১৯. শামসুন নাহার জলি
২০. সানজিদা পারভিন উর্মি
২১. রানা শরনম পলি
২২. রুবাইয়ী রোখসানা রুপালী
২৩. নাজনিন আলম খান জিনি
২৪. শাহানারা আক্তার পুতুল
২৫. নারগিস আক্তার মুক্তা
২৬. অঞ্জুমান আরা বেগম জুঁই
২৭. সুলতানা রাজিয়া বৃস্টি
২৮.সালেহা পারভিন মাছুমা
২৯. জেসমিন আরা লিলি লিনাcabin crow-10
৩০. মনদিরা খান
৩১. রুখসানা বেগম নিশুতি
৩২. শফিকা নাসিম নিম্মি
৩৩. হোসনে আরা মেঘলা
৩৪. মিতালী হক দুলালী
৩৫. সৈয়দা নারগিষ নাহার শিমুল
৩৬. কাজী তাহমিনা ইলিয়াস
৩৭. বুশরা আহমেদ (৩৪৬২৪)
৩৮.খন্দকার আকতার হোসেন
৩৯. তাইমুর পারভেজ
৪০. আতাউর রহমান
৪১. রাবেয়া বশরি ইরিনা
৪২.কামনা আক্তার সাবিনা
৪৩. আনজুমান ইসলাম
৪৪. ফঅহানা মোস্তফা নুসরাতcabin crow-7
৪৫. সৈয়দা ফারহানা আনুশা
৪৬. সাহিদা নাজ ফেরদৌসি স্মীতা
৪৭. সানজিদা আক্তার ঐশি
৪৮. সুরাইয়া রশিদ অপর্না
৪৯. শাহনাজ বেগম ঝর্না (৩৫৩৫৮)
৫০. ইয়াসমিন ইউনুস খান মুন্নি
৫১. এস ফুয়ারা পারভিন মিলি
৫২. দিলরুবা আক্তার
৫৩. নুতান আরা নতুন (৩৫৩৬৬)
৫৪. সুলতানা রহমান
৫৫. লুবনা ইয়াসমিন শান্ত
৫৬. আসমা আজমী
৫৭. কামরুন নাহার
৫৮. জবা রয়
৫৯. ফারহানা খানম (৩৫৩৮৭),
৬০. মল্লিকা ইয়াসমিন
৬১. শামিকা আহমেদ
৬২. সারা রাশেদ সাগরিকা
৬৩. সালমা সারোয়ার কবিতা
৬৪. সানজিদা ইসলাম
৬৫. শাহিদা রুমী
৬৬. ইয়াসমিন সুলতানা তন্নী
৬৭. ফাহমিদা ফেরদৌস নিকিতা
৬৮. রেবেকা সুলতানা
৬৯. মুশতারি আনোয়ার
৭০. মার্জিয়া তাওহিদ হোসেন
৭১. ইমিনা এমদাদ সৃস্টি
৭২. সালমা খাতুন মিমা
৭৩. রুদাবা সুলতানাcabin crow-9
৭৪. ফ্লোরা নাসরিন
৭৫. খালিদা পারভিন বিথী
৭৬. নাহার আঞ্জুমান
৭৭. জিনাত আরা ফেরদৌস
৭৮. কাজী তাহমিনা মিশু
৭৯. হুনসে আরা
৮০. রফিকুন নাহার খান
৮১. মিনু আক্তার
৮২. সাদিয়া পারভীন (৩৫৫০১)
৮৩. সেহেলী অঅক্তার (৩৫৫০২)
৮৪. জোবায়দা গুলশান
৮৫. সুফিয়া আক্তার
৮৬. রোজিনা মাওলা
৮৭. অ¡– মু নাছির উদ্দিন হায়দার
৮৮. অঅহমেদ জাবেদ
৮৯. কামাল হোসেন
৯০. সাইফুল কবির
৯১. আবদুর রহমান
৯২. আবদুল মালেক
৯৩. মহিদুল আলম চৌধুরী
৯৪. সাখাওয়াত হোসেন বিপ্লব
৯৫. অঅশিকুর রহমান আশিক
৯৬. খান আবু আরমান
৯৭. শহিদুল্লাহ কায়সার
৯৮. খান মনির আহমেদ
৯৯. ফিরোজ মিয়া
১০০. রেজোয়ান আলম
১০১. তৌফিক সুমনcabin crow-8
১০২. রেজাউল আজিম
১০৩. কাজী মোহাম্মদ সেলিম
crow-00১০৪. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
১০৫. কাজী শাহিনুর ইসলাম
১০৬. মো: এনায়েতুল্লাহ
১০৭ মোঃ মিনহাজ উদ্দিন
১০৮. শরিফুল হুদা
১০৯. গোলাম দস্তগির
১১০. আবু হোসেন
১১১. ফারুকুল আলম
১১২. মনিরুজ্জামান
১১৩. রেজাউর রহমান নাঈম
১১৪. নুর ই আলম চৌধুরী
১১৫. আতাউর রহমান
১১৬. বোরহান উদ্দিন জায়গীরদার
১১৭. রুহুল আমীন
১১৮. কাজী মোঃ শরীফ আল কাদের
১১৯. মনিরুজ্জামান খান
১২০. নুর ই আলম সিদ্দিক
১২১. আলিম আল রেজা আহমেদ
১২২. আলমগীর
১২৩. কবিরুল হক খান
১২৪. জহিরুল ইসলাম
১২৫. আকমল হোসাইন খান
১২৬. কামরুল ইসলাম
১২৭. এ এইচ ইউছুপ হোসাইন সুমন
১২৮. কাজী হাসিবুস সালেহীন
১২৯. মোস্তফা আল মামুন
১৩০. আবদুল জব্বার
১৩১. নাছির উদ্দিন
১৩২. হাফিজুল ইসলাম
১৩৩. আনিসুর রহমান
১৩৪. জাহিদ হোসাইন
১৩৫. আবদুস সামাদ মিয়া
১৩৬. একেএম জাহিদ
১৩৭. শাহিনুর রহমান
১৩৮. মোতাহার হোসাইন
১৩৯. মুগনী মুস্তফা
১৪০. মনিরুল ইসলাম
১৪১. সেলিম হোসাইন
১৪২. মোস্তফা কামাল
১৪৩. গাউস উদ্দিন আহমেদ
১৪৪. আশরাফ আলী সরদার
১৪৫. লুৎফর রহমান ফারুক
১৪৬. তাইফুর রহমান খান
১৪৭. এবিএম ফখরুল হাসান
১৪৮. আবুল কালাম আজাদ
১৪৯. সৈয়দা নাজনিন সানজিদা সি-১৬১৬
১৫০. নি[দলরুবা আহমেদ নাহিদ সি১৬৬২
১৫১. ফাহমিদা পারভিন জয়া সি-১৬২২
১৫২. ফারহানা আহমেদ কোয়েল সি১৬২৩
১৫৩. নাহিদ সুলতানা চম্পা সি-১৬২৮
তবে এই তালিকা প্রসঙ্গে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস উপ বিভাগ তাদের এক ফাইলে জানিয়েছে, ৩ জন সি নম্বরধারী জুনিয়র পার্সারের জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শাখা/বিভাগের মতামত নথি প্রেরণ করা হলে নিয়োগ শাখা, বিধি শাখা ও আইন শাখা এ মর্মে মতামত প্রদান করে যে, একই বেতন বিভাগে কর্মরত সি নম্বরধারী কর্মচারীগনকে অস্থায়ীভাবে তাদের যোগদানের তারিখ হতে জেষ্ঠ্যতা নিধারণ করা যেতে পারে। অর্থাৎ স্থায়ী কর্মচারীদের সাথে ক্যাজুয়েল ভিত্তিক কর্মচারীদের জেষ্ঠ্যতা একীভুত করার কোন সুযোগ নেই।

এছাড়া নথিতে সংযুক্ত পি নম্বরধারী জুনিয়র পার্সারগণের জেষ্ঠ্যতার তালিকা সঠিক প্রতিয়মান হয়নি। তবে পার্সোনাল শাখায় রক্ষিত জেষ্ঠ্যতা তালিকার সাথে তুলনা করে দেখা গেছে নথির তালিকার ক্রমিক নম্বর ২, ৩, ৪, ৩১ এ বর্ণিত কর্মচারী তৈমুর পারভেজ পি-৩৩৪৯৪, আতাউর রহমান পি-৩৩৫৯৯, খন্দকার অখতার হোসেন, পি-৩৩৭৬৩ ও সুলতানা রাজিয়া, পি-৩৪৪৮৭ এর জেষ্ঠ্যতা যথাক্রমে ৩৯, ৪০, ৩৮, ও ২৭ এ নির্ধারণ করা আছে। নথিতে সংযুক্ত জেষ্ঠ্যতার তালিকায় ক্রমিক নম্বর ৬৪ মিসেস আল কুবরুন নাহার (কসমিক) পি-৩৫৩৯৮ কে মুসলেকা প্রদান স্বাপেক্ষ্যে পদোন্নতি পত্র গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করা সত্ত্বেও তিনি অদ্যবদি (২২.০৫.২০১২) তা প্রদান না করায় তার জুনিয়র পার্সার পদে পদোন্নতি পত্র জারি করা সম্ভব হয়নি। একারণে তার নাম জেষ্ঠ্যতার তালিকায় অন্তভুক্ত করার সুযোগ নেই।

তবে ওই ফাইলের ৪৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এ মুহুর্তে (৩১/০৫/১২) স্থায়ী কর্মচারীদের নামের শেষে ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের নাম অন্তভুক্ত করা হলে, পরবর্তীতে এফএস/এফএসএস থেকে কেউ পদোন্নতি পেয়ে জেপি হলে, তখন তাদের নাম জেষ্ঠ্যতার তালিকায় ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের উপরে অন্তভুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা আবার ক্ষুব্ধ হতে পারে বা তালিকাসহ আইন প্রক্রিয়ায় যেতে পারে। সেক্ষেত্রে একমাত্র স্ব স্ব বেতন বিভাগে যোগদানের তারিখ থেকে ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের নিজেদের জেষ্ঠ্যতা তালিকা সংরক্ষন করা যেতে পারে।

crow0ফাইলের ৫২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়, স্থায়ী কর্মচারী আর ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে নিয়োজিত জেষ্ঠ্যতা একীভুত করার কোন সুযোগ নেই। তবে স্থায়ী ও ক্যাজুয়াল কর্মচারীগণ একসঙ্গে ডিউটি পালনের সময় কাকে জেষ্ঠ্যতা দেয়া হবে বা কে জেষ্ঠ্যতা নিয়ে ফ্লাইট ডিউটি পালন করবেন সে বিষয়ে সমন্বিত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। কারণ ক্যাজুয়্যাল ভিত্তিতে যারা বর্তমানে ফ্লাইট অপারেট করছেন, তারা ২০১১ সালে শর্ত সাপেক্ষে জুনিয়র পার্সার হিসাবে পদোন্নতি পাওয়া ক্রুদের আর্গে বিমানে যোগদান করেছেন। সে সময় থেকে এই ক্রুগণ নিয়ম মাফিক তাদের নিজ নিজ পদবীর বিপরীতে ফ্লাইটে কাজ করছেন এবং আগের মতো (ভিআরএসে যাওয়ার আগে) বহিস্টেশনে সিঙ্গেল রুম এর সুবিধা ভোগ করে আসছেন। শর্ত স্বাপেক্ষে পদোন্নতি প্রাপ্ত ১০৭ জেপি গনকে জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণ করে ভবিষ্যতে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করলে প্রশাসনিক কোন জটিলতার সৃস্টি হবে না। তবে এই ১০৭ জন জেপিকে পুর্বের সি নম্বর এ যোগদান করা জেপিদের সিনিয়র হিসাবে কার্যক্ষেত্রে পজিসন দেয়া হলে সি নম্বর যুক্ত সিনিয়র জেপিগণ পদোন্নতি প্রাপ্তদের অধীনে কাজ করতে হবে। এতে চেইন অব কমান্ডের জটিলতায় পড়বে। এছাড়া বহি স্টেশনে সি নম্বরধারীরা সিঙ্গেল রুম থেকেও বঞ্চিত হবেন। এই অবস্থায় পি নম্বর, জি নম্বর সি নম্বর নিয়ে কর্মরত সকল ক্রুদের জেষ্ঠতার বিসয়ে প্রশাসনিক ও কর্মক্ষেত্রের জন্য একটি সমন্বিত সিদ্ধান্ত দরকার। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গত ৩ বছরেও এই সমন্বিত সিদ্ধান্তটি করা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সমন্বিত সিদ্ধান্ত হলে সি নম্বরধারীরা স্থায়ী জেপিদের অধীনে কাজ করতে হবে বিধায় এনিয়ে কাল ক্ষেপন করা হচ্ছে।

 

—— রিপোর্টে প্রকাশিত সব ফটো ফাইল ছবি (অনলাইন থেকে সংগৃহিত)

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.