লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দ্বারা জাহাজ আটকের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে সংযত থাকতে বলেছে সৌদি আরব। সংশ্লিষ্ট দুটো সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকেই সৌদি এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে যাচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ইরান সমর্থিত হুতিরা ইসরায়েলকে নিবৃত্ত করার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে। তারা লোহিত সাগরে বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালিয়েছে এবং ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে একটি জাহাজ আটকও করেছে।
হুতিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের সহযোগিতায় তারা এ কাজ চলমান রাখবে। যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল গাজায় হামলা বন্ধ না করবে, ততদিন তারাও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
এদিকে হুতিদের এ কার্যক্রমের ফলে লোহিত সাগরে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি পরিবহনকারী জাহাজের ক্ষেত্রে। কারণ এ অঞ্চল দিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ জাহাজ চলাচল করে।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানি করা রিয়াদ হুতিদের হুমকি হিসেবে দেখছে। কারণ হুতিরা সৌদি আরবেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
গত সপ্তাহে জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা জোরদার করেছে হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি মর্তাদর্শের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, হুতিদের এমন কার্যকলাপের পর ওয়াশিংটনকে নতুন করে কোনো পরিকল্পনা নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছে সৌদি আরব। সূত্রটি আরও জানায়, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের পর এতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট ছিল সৌদি।
আরও একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধ বন্ধের কারণ উল্লেখ করে সৌদি আরব ওয়াশিংটনকে চাপ দিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি।
এছাড়া সৌদি সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মেইল পাঠায় রয়টার্স। তবে মেইলের কোনো জবাব দেয়নি রিয়াদ।