বেসরকারি ইয়েতি এয়ারলাইনসের মালিকানাধীন একটি এটিআর৭২ উড়োজাহাজ গত ১৫ জানুয়ারি নেপালের পর্যটন নগরী পোখরায় অবতরণের ঠিক আগে বিধ্বস্ত হয়। পর্বত ঘেরা দেশটির ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এ আকাশ দুর্ঘটনায় নিহত হন ৭২ জন।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রায় এক বছর আগের এ দুর্ঘটনায় পাইলটরা ভুল করে উড়োজাহাজে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। এতে অ্যারোডাইনামিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নেপাল সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিটি এক রিপোর্টে এ তথ্য জানায়।
দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট ওই ফ্লাইটে দুই শিশু, চার কর্মী ও ১৫ জন বিদেশী নাগরিকসহ ৭২ জন আরোহী ছিলেন, যাদের কেউ বাঁচেননি।
বিমান প্রকৌশলী ও এই তদন্ত কমিটির সদস্য দীপক প্রসাদ বাস্তোলা বলেন, সচেতনতা ও মান পরিচালনা পদ্ধতি অনুসরণের অভাবে পাইলটরা বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণে ফ্ল্যাপ লিভার ব্যবহার করেননি। এর ফলে ইঞ্জিন ঝিমিয়ে পড়ে ও থ্রাস্ট তৈরি করতে পারেনি। তবে বিদ্যমান গতির কারণে জমিতে আছড়ে পড়ার আগে ৪৯ সেকেন্ড পর্যন্ত উড়েছিল যানটি।
১৯৯২ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের এয়ারবাস এ৩০০ কাঠমাণ্ডু যাওয়ার পথে পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ে। ওই উড়োজাহাজে থাকা ১৬৭ জনই নিহত হন। এরপর থেকে এটিআর৭২ এর ভেঙে পড়া ছিল নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।