উগ্র ইসরায়েলিদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় কানাডা

ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চল পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি ও উগ্র বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে কানাডা। দেশটির প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে অধিকৃত অঞ্চলটিতে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার ইসরায়েলি ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

অন্টারিওর ওয়াটারলুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, ‘পশ্চিম তীরে সহিংসতাকারী বা উগ্র বসতি স্থাপনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তা আমরা দেখছি।‘

ট্রুডো আরও বলেন, “পশ্চিম তীরে সহিংসতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা দুই রাষ্ট্রের সমাধানের পথকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।“

ট্রুডোর মন্তব্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নীতির প্রতি পশ্চিমাদের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের লক্ষণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার নিয়ে কানাডার প্রেসিডেন্ট সোচ্চার হলেও গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে তার সুর কঠোর হচ্ছে।

কানাডার পাশাপাশি ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়াসহ এক ডজনেরও বেশি অংশীদার দেশ পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা মোকাবেলায় অবিলম্বে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকে, ইসরায়েল জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর দখল করে, যা বর্তমানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল হিসাবে চায় ফিলিস্তিনিরা। বর্তমানে ইসরায়েল সেখানে ইহুদি বসতি তৈরি করেছে যা বেশিরভাগ দেশ অবৈধ বলে মনে করে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.