ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করতে সৌদে আরব সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কন।
গতকাল সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের পর প্রথমবারের মত রিয়াদে পা রাখেন তিনি। খবর রয়টার্স।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাফাহ গাজার একটি সীমান্ত শহর। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল হামলা শুরু হওয়ার পর গাজার প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা এ অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। রাফাহ সীমান্তে পুনরায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে আশা করছেন গাজাবাসী।
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমন শুরু করেছে মার্কিন এই কূটনৈতিক। তার ধারাবাহিকতায় গতকাল তিনি সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী এক দীর্ঘ আলোচনা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেছেন, ব্লিঙ্কেন এবং সৌদি যুবরাজ গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া উপত্যকাটিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং সংঘাত যেন পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়েও তারা আলাপ করেন।
গাজায় চলমান সংকট নিয়ে ব্লিঙ্কন সরাসরি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এর আগে গত সপ্তাহে কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতায় হামাসকে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়। তাতে সায় দেয়নি হামাস। চার মাস ধরে চলা এই সংঘাত নিরসনে কোন ধরণের শর্ত মানতে রাজি নয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনাতাকামী এই সংগঠনটি।
এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এই আলোচনার কোন অগ্রগতি পাব কিনা সেটা এখনি বলা সম্ভব নয়, কারণ এ বিষয়টি নির্ভর করছে হামাসের ওপর।
গাজা ইস্যুতে মার্কিন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন ব্লিঙ্কেন। এর আগে ইসরায়েল ওয়াশিংটনের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নাকচ করায় আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি ইরান সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীগুলোর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, সেক্ষেত্রে এই উত্তেজনা যেন মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকটাও নজরে রেখেছে দেশটি।