ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়ালের দামও অনেক বেড়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছা সত্ত্বেও হজের ব্যয় কমানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
আজ মঙ্গলবার সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজলের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে মক্কা ও মদিনায় অনেক এলাকায় বাড়ি ও হোটেল ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়া ব্যয় এ বছর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক নানা কারণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়ালের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া মিনায়-আরাফায় তাবু ভাড়াসহ মেয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সকল কারণে সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজের ব্যয় আর কমানো সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, হজে মুসল্লি প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও যেন পূর্ণ কোটায় হজযাত্রী পাঠানো যায় সেজন্য ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমিয়ে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকার সাধারণ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যেন হজে যেতে পারেন সেজন্যই এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অধিক সুযোগ সুবিধা আশা করেন এই রকম হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি মাধ্যমে বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।